বিশেষ প্রতিবেদকঃ– নারায়ণগঞ্জের ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির এক সংগঠক ও তার সহযোগীকে ইয়াবাসহ আটক করেছে যৌথ বাহিনী।
রোববার (৯ মার্চ) দুপুরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান চালায় যৌথবাহিনী।
আটকৃতরা হলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সংগঠক জিদান হোসেন ও তার সহযোগী ইকবাল হোসেন।
হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, খানপুরস্থ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে মো. জিদান হোসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা পরিচয় দিয়ে হাসপাতালের স্টাফদের হুমকি ধমকীসহ বিভিন্নভাবে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করে আসছিল। পাশাপাশি সে হাসপাতালের ভেতরে ইয়াবা সেবন ও বিক্রিও করতো। এ বিষয়ে কয়েকজন ভুক্তভোগী সেনাবাহিনীকে অভিযোগ জানালে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে হাসপাতালের অভ্যন্তর থেকে সংগঠক জিদান হোসেন ও ইকবাল হোসেনকে আটক করে।
ইয়াবাসহ আটক হওয়ার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির আহবায়ক নিরব রায়হান জানান, মো. জিদান হোসেন জেলা কমিটির সংগঠক ছিল। তাকে আটকের বিষয়টি আমরাও জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে আমরাও সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নিবো।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের তত্বাবধায়ক (সুপার) ডা. এমএ বাশার জানান, যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করে নিয়ে গেছে। তাদের মধ্যে একজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক বলে জানতে পেরেছি।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, মো. জিদান পূর্বে রং মিস্ত্রি ইন্টেরিয়রের কাজ করতেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় সে পিঠে ছররা গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। এরপর থেকে জিদান সমন্বয়ক বনে যান। সে নিজে ইয়াবা সেবন ও বিক্রিও করতো। পাশাপাশি খানপুর ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে দালালীও করতো। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যৌথবাহিনী জিদান ও ইকবালকে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪ পিছ ইয়াবাও উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
