Monday, November 10, 2025
Google search engine
Homeঅপরাধবিএনপি নেতার ভাই বলে কথা ! এসিল্যান্ডকে তোয়াক্কা না করে ঘুষ বানিজ্য...

বিএনপি নেতার ভাই বলে কথা ! এসিল্যান্ডকে তোয়াক্কা না করে ঘুষ বানিজ্য ব্যস্ত নায়েব ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ


সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ
-নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় একাধিক ভুক্তভোগীরা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। 

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ নামে এ কর্মকর্তা হোসেনপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যোগদানের পর থেকেই শুরু হয় ঘুষ আদায় করা। তিনি শুরু থেকেই জমিসংক্রান্ত সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মনগড়া সিদ্ধান্ত চাপিয়ে অবৈধভাবে মোটা অংকের ঘুষ হাতিয়ে নিচ্ছেন। শুনছেন না সোনারগাঁও সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ ইব্রাহীম এর কথা।  কথায় আছে কুকুর লেজ নাড়ায়, না লেজ কুকুর নাড়ায়,এসিল্যান্ড সোনারগাঁও এসিল্যান্ড, না ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা এসিল্যান্ড, ঠিক ওই অবস্থা হয়েছে এখানে। এসিল্যান্ড এর কথায় কর্নপাত না করে দেদারসে ঘুষ বানিজ্যে ব্যস্ত তিনি।তার খুঁটির জোর নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ❓ 

জানা যায়, ভূমির খাজনা পরিশোধ, নামজারি- জমাভাগ,তামিল প্রতিবেদন ইত্যাদি কাজের জন্য জমির মালিকদের কাছ থেকে একেক সময় একেক কথা বলে অযথা হয়রানি ও ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে দিনের পর দিন ভুক্তভোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকছে। এছারাও ঘুষ না দিলে নেট নাই, সার্ভারে সমস্যা, ওয়েবসাইট ডাউন, পরে আসেন। আর তার চাহিদা মতো ঘুষ দিলে সব আছে।

ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ প্রতিটি নামজারি প্রস্তাব উপজেলা অফিসে পাঠানোর জন্য ক্ষেত্রভেদে ১০ হাজার থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিয়েছেন। জমি কাগজপত্র সঠিক থাকা সত্ত্বেও দাবিকৃত ঘুষ না দিলে তিনি পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করেন না। ভুক্তভোগীদের কেউ কেউ উক্ত কর্মকর্তার ঘুষ দাবি ও গ্রহণের ও জনসাধারণের সাথে খারাপ আচরনের বিষয় ব্যাপক জানাজানি হয়। এ ঘটনায় কিছু দিন আগেও স্থানীয় ছেলেপেলেদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি । 

উল্লেখ্য, এমন ঘটনার পর তিনি সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা না বলে অফিসে এলে ঘুষের পরিমাণ কাগজে লিখে দেন। আবার তার আপন ভাইকে নিয়ে অফিসে বসিয়ে গ্রাহকদের কাছে ঘুষ দাবি করান।তার ভাই দালালদের বলেন ভাই আপনি একটি নামজারী করতে ৫০ হাজার নিলে আমাদের অর্ধেক দিতে সমস্যা কি? আসেন মিলেমিশে খাই! এছারাও সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে মেঘনা গ্রুপের একটি কাজ করার জন্য ২৫ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ উঠে, এঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন মেঘনা গ্রুপ এর এক কর্মকর্তা । তারপরও নায়েব ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ কাওকে তোয়াক্কা না করে দেদারসে ঘুষ বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। তার এহেন কার্যকলাপে প্রশ্ন উঠছে তার খুটির জোর কোথায়?অপরদিকে রয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীর ছত্রছায়া।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান,তার আপন ভাই হুমায়ুন কবির রফিক পৌরসভা বিএনপির সাবেক ১ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আর এই বিএনপি নেতার নামে রয়েছে বিস্ফোরক ও সরকার বিরোধী জ্বালাও-পোড়াও অগ্নিসংযোগের একাধিক মামলা। তারই বড় ভাই ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ, তিনি সোনারগাঁও পৌর এলাকার স্থানীয় ও একাধিক মামলার বিএনপি নেতার ভাই হওয়ায় তিনি ইউনিয়ন ভূমি অফিস দাপটে সঙ্গে চালিয়ে রাম রাজত্ব কায়েম করেন, এছাড়াও তিনি তার আপন ছোট ভাই কে অফিসে নিযুক্ত করেন ঘুষ লেনদেনের জন্য,নায়েব খলিল উল্লাহ সকাল ১২ টার পর অফিসে আসেন তার বিরুদ্ধে সময় মতো অফিস না করার রয়েছে ব্যাপক অভিযোগ।এছারাও অভিযোগ রয়েছে দুই ভাই একই অফিসের নায়েব বলে।

এবিষয়ে ভুক্তভোগীর নায়েব ইব্রাহিম খলিল উল্লাহর বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান এলাকা বাসী। 

এবিষয়ে ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বক্তব্য দিতে অনিহা প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইব্রাহিম বলেন, আমি যোগদানের পর থেকে সর্বাত্বক মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আবেদন এর ১৫-২০ দিন এর মধ্যে সমাধান করার চেষ্টা করি। নায়েব ইব্রাহিম খলিল উল্লাহর বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনে আশ্বাস দেন তিনি।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments