Sunday, July 13, 2025
Google search engine
Homeঅপরাধব্যাপক দূর্নীতি ও অনিয়মে জর্জরিত বন্দর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণের কর্মকর্তা নাছিরা আক্তার

ব্যাপক দূর্নীতি ও অনিয়মে জর্জরিত বন্দর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণের কর্মকর্তা নাছিরা আক্তার

স্টাফ রিপোর্টার:-অফুরন্ত দুর্নীতি ও অনিয়মের জর্জরিত খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মোসাম্মৎ নাসিরা আক্তার। 

অভিযোগটি পাওয়া গেছে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মোসাঃ নাসিরা আক্তারের বিরুদ্ধে । 

তথ্য সূত্রে জানা গেছে, অনুমোদিত ডিলারদের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ  অনিয়ম ও দূর্নীতি করে যাচ্ছে নাসিরা আক্তার ।

প্রকাশ্যে কেউ প্রতিবাদ না করলেও নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনুমোদিত এক ডিলার জানান, কয়েক বছর ধরে আইন বহির্ভূত ভাবে প্রতিটা ডিলারের কাছ থেকে প্রতি ডিউ লেটারে নাসিরা আক্তার নেন ১ হাজার টাকা আর অফিসের সহকারী কর্মকর্তাদের নামে নেন ২শত টাকা।

দীর্ঘদিন এই অনিয়ম চলতে থাকলে, গত ৫ ই জুলাই ছাত্র আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থানে সরকার বদলের পর অনেক ডিলার এই অবৈধ টাকা দিতে অস্বীকার করলে ডিলারদের নানা ভাবে হয়রানী সহ হুমকি দিয়ে আসছে অভিযুক্ত কর্মকর্তা নাসিরা আক্তার।

এক ডিলার গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ করে জানান,  ( টিএস এফ) এর বরাদ্দকৃত হতদরিদ্রের চাল নিতে দেরি হওয়ায় হতদরিদ্রের নানা বাহানায় অজুহাত দেখিয়ে চাল না দিয়ে আত্মসাৎ করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে এই দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা নাসিরা আক্তার।

এ বিষয়ে কোন ডিলার প্রতিবাদ করলে ডিলারের ডিলার সিপ বাতিল করে দেওয়ার হুমকিও দেন এই নারী কর্মকর্তা। 

অভিযোগ রয়েছে ধামগড় ইউনিয়নের এক ডিলার কে নোটিশ না দিয়ে ডিলার সিপ বাতিল করে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে   জজ মিয়া ও হালিম নামে দুই  ব্যাক্তিকে ডিলার সিপ প্রদান করেন।

তাছাড়া ধামগড় ইউনিয়নের  অপর আরেক ডিলার ঘুষ বাণিজ্য একমত প্রকাশ না করায় তার জামানত বাতিল করার হুমকি দেন নাসিরা আক্তার। 

অপর আরো এক ডিলার হাবিবের ডিলার সিপ বাতিল করে কামরুজ্জামান নামে এক ব্যাক্তির নামে ডিলার সিপ প্রদান করেন।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে , চলতি মাসে হতদরিদ্র নামে বরাদ্দকৃত চাল মাষ্টার রুলের বাহিরে  নাসিরা আক্তার ছাত্র জনতার নাম দিয়ে বেআইনী ভাবে ২৬ বস্তা চাল আত্মসাৎ করেন। 

আত্মসাৎ এর বিরুদ্ধে ডিলাররা প্রতিবাদ করলে,বর্তমান ডিলারদের ২৫-২৬ অর্থ বছরে লাইসেন্স নবায়ন না করার দাবীতে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বরাবর লিখিত আবেদন জানান, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাসিরা আক্তার। 

সরকারি এই প্রকল্পটি উপজেলা ভিত্তিক হওয়ায় হতদরিদ্রের কার্ড নতুন অথবা নবায়ন করতে গেলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সুপারিশে কার্ড ইসু করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। 

অভিযোগ পাওয়া যায়, যদিও উপজেলার বাহিরের কোন দরিদ্র ব্যাক্তি এই সুবিধা পাওয়ার কথা না থাকলেও বিশেষ অনিয়মের ক্ষমতায় বেশ কিছু শুভাকাঙ্ক্ষীদের এই কার্ড প্রদান করেন, নাসিরা আক্তার। 

এই অনৈতিক সুবিধা ভোগে যারা রয়েছে নাসিরা আক্তারের অফিস স্টাফ,কাজের বুয়া,আত্মীয়স্বজন ও সিটি কর্পোরেশনের লোক।

অন্যদিকে হতদরিদ্রের মধ্যে মৃত ব্যাক্তিদের চাল নিজস্ব ক্ষমতা বলে আত্মসাৎ করেন।

অপর দিকে নাসিরা আক্তারের বাসভবনের কাজের বুয়া আসমা আক্তার মুঠোফোনে  জানান,আমি আগে কাজ করতাম।তিনি আরো বলেন, নাসিরা আক্তার আমাকে হতদরিদ্রের চাল এর কার্ড করে দিছে।

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে আসমা বেগম জানান, আমার বাড়ি বরগুনা। 

এ বিষয়ে ইউনিয়নের বাহিরে লোক কে কিভাবে হতদরিদ্রের চালের কার্ড দেন নাসিরা আক্তার,এই প্রশ্ন সচেতন মহলের। 

বিশেষ সূত্রে খবর পাওয়া গেছে, বন্দর উপজেলার সাবেক সহকারী কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিনের শাশুড়ির নামেও রয়েছে এই হতদরিদ্রের চাল এর কার্ড।

কিভাবে দিলো তা জানতে বোরহান উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ওনি আমার শাশুড়ী না।এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

এ ঘটনায়,  ভূক্তভোগী ডিলাররা অভিযুক্ত নাসিরা আক্তারের কঠিন শাস্তি ও অপসারণের দাবী করেন।

অন্যদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরো এক  ডিলার জানান, এই মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী। সে বলে তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না। সম্পূর্ন অন্যায় ভাবে ঘুষ না দেওয়ার কারনে এই নাসিরা আক্তার আমার ডিলার সিপ বাতিল করে ।

এ ব্যাপারে অভিযোগের পাহাড়ে ঘেরা নাসিরা আক্তারের মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন টি রিসিভ করেন। নাসিরা আক্তারের কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনি ২৭ তারিখে আসেন কথা বলবো।

বিষয়টি নিয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের  সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমরা অভিযোগ পেলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নিবো।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments