Tuesday, October 28, 2025
Google search engine
Homeঅপরাধঘুষ ছাড়া কাজ করেন না’ সনমান্দী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী অফিসের বড় বাবু...

ঘুষ ছাড়া কাজ করেন না’ সনমান্দী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী অফিসের বড় বাবু মফিজ আজকের সংবাদ ডেস্কঃ

ঘুষ ছাড়া কাজ করেন না’ সনমান্দী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী অফিসের বড় বাবু মফিজ 

আজকের সংবাদ ডেস্কঃ নারায়ণগজ সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। জমি খারিজসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে দিনের পর দিন হয়রানির সাথে গুনতে হচ্ছে ঘুষের টাকা। বর্তমান ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকতা মো.মফিজ উদ্দিন যোগদানের পর থেকেই রামরাজত্ব চলছে এ অফিসে। রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। পদে পদে বাড়তি টাকা না দিলে কোনো সেবাই মিলছে না সনমান্দী ইউনিয়ন তহসিল অফিসে। জমি খারিজ ও প্রয়োজনীয় কাগজ নিতে দিনের পর দিন হয়রানির সাথে রয়েছে নানা ভোগান্তি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ৩০থেকে ৪০ দিনের মধ্যে জমি খারিজ পাওয়ার বিধান থাকলেও এখানে ৫-৬ মাস ধরে নানা অজুহাতে আটকে রাখা হচ্ছে।

 

অনুসন্ধানে জানা যায়,একজন সাধারন তহসিলদার হয়েও মফিজ প্রাইভেট গাড়ি দিয়ে চলাফেরা করেন। অপর দিকে নদী থেকে বালু উত্তলন ও কৃষি জমি কিছু অসাধু ব্যাবসায়ীরা ভরাট করার ফলেও তিনি নীরব ভূমিকা পালন করেন,নিরব ভুমিকা পালনে স্থানীয় এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে বানিজ্য করার অভিযোগ করেন। এছারাও তার বিরুদ্ধে সময় মতো অফিস না করার অনেক অভিযোগ রয়েছে। সরকারি নিয়ম মাফিক নয়টা থেকে অফিস করার কথা থাকলেও তিনি কখনও আসেন দশটায় কখনো এগারোটায় আবার সপ্তাহে দুই একদিন অফিসে না এসেই অফিস সহায়ক দিয়ে কার্যক্রম চালান।

একটি সুত্রে জানাযায়,সনমান্দী ইউনিয়নের বাসিন্দাদের কাছ থেকে খারিজে কাগজ পত্রে ভুল দেখিয়ে এভাবেই অবৈধভাবে টাকা নিয়ে জমির খাজনা খারিজ করছেন সনমান্দী ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মফিজ উদ্দিন। কেউ টাকা দিতে না পারলে জমি খারিজের কাগজপত্র নেন না তিনি। ঘুষ ছাড়া কাজ হয়না এই অফিসে। দালালের মাধ্যমে মোটা অংকের ঘুষ দিলেই মিলে নামজারী পর্চা। অন্যথায় ভাগ্যে জোটে হয়রানী।

এমনই এক ভুক্তভোগী জানান। তিনি গত কয়েক মাস আগে একটি জমি খারিজ থেকে খারিজ করতে গিয়েছিলেন ইউনিয়ন তহসিল অফিসে। সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সেই জমি খারিজ করতে তাকে ৪ দিন ঘুরিয়ে টাকা দাবি করেন। কিসের জন্য ২০ হাজার টাকা লাগবে- জানতে চাইলে এসিল্যান্ডকে ১২ হাজার টাকা দিতে হবে এবং অন্যান্য খরচ আছে বলে তিনি তাকে জানান।তিনি টাকা দিতে না পারায় খারিজের আবেদন নেননি ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা। টাকার অভাবে এখন পর্যন্ত তার জমি খারিজ করতে পারেননি।

ভুক্তভোগী জানান টাকা দিতে না পারায় এই নায়েব আমার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করেছেন। উনি থাকতে আমি জমি খারিজ করতে পারব না। এভাবে চলতে থাকলে এখানকার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।  

অথচ সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম মুস্তাফা মুন্না সোনারগাঁ নারায়ণগঞ্জ এর কাছে গেলে শুধুমাত্র ডিসিআরের টাকা জমা দিয়েই তার খারিজের কাজ হয়ে যায়।

সব অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করা তার কাজ বলে একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন। এছারাও সেবা নিতে আসা একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে পিন্টার মেশিন চাওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অফিসের এই কর্মকর্তা নিজেস্ব দুইজন লোক দিয়েও টাকা লেনদেন করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।ইতোমধ্যে ইউনিয়ন ভুমি অফিসে একটি ভিডিও ক্লিপ সাংবাদিকদের হাতে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে অফিস চলাকালীন সময়ে তাদের ঘুমের চিত্র ও সেবা নিতে আসা জনসাধারণের ভোগান্তি। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নায়েব মফিজ এই প্রতিবেদক কে দেখে নেয়ার হুমকিসহ মোবাইলে গালমন্দ ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন। তার কথামতে, তিনি জেলা প্রশাসকের চাইতেও অনেক বড়। তিনি যেভাবে চাইবেন সেভাবেই কাজ করে নিতে হবে।তিনি নারায়ণগঞ্জ ঝালকুড়ি এলাকার স্থানীয় বলে প্রভাব খাটান বলে জানা যায়।

এ নিয়ে সনমান্দী ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের মধ্যে  তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে ।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম মুস্তাফা মুন্না  বলেন, আমি যোগদানের পর থেকে সর্বাত্তোক মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। লক ডাউনের কারণে আবেদন করা কিছু আবেদন পিছিয়ে পড়েছে। এগুলো আমি দ্রুত সমাধান করে দেয়ার চেষ্টা করছি। যেসব নামজারি বাতিল হয়েছে সেসব জমির কাগজপত্র,দাগ নাম্বার ভূল থাকায় বাতিল হলে। আমরা সেগুলো সংশোধন করার মাধ্যেমে নামজারি করে দিচ্ছি। নায়েব মফিজ সাহেব যদি অসৌজন্যমূলক আচরণ করে থাকেন তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনে আশ্বাস দেন তিনি। 

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন,সাধারন মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় এজন্য সরকার এখন অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ করে দিয়েছেন।এলাকার জনপ্রতিনিধি,সচেতন মানুষ এবং সংবাদকর্মী সকলের উচিত এ বিষয়ে গণসচেতনতা তৈরি করতে হবে,যেন নিজেরাই অনলাইনে আবেদন করেন। তাহলেই দুর্নীতির সূযোগ কমে যাবে। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।(চলবে)–

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments