Thursday, July 31, 2025
Google search engine
Homedhakaজবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার : নেপথ্যে ছাত্রশিবির

জবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার : নেপথ্যে ছাত্রশিবির

স্টাফ রিপোর্টারঃ-জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বেশকিছু নেতিবাচক সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম ফরাজী এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হোসাইনের বিশ্ববিদ্যালয়ে টেন্ডার বাণিজ্য সংক্রান্ত এবং শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হোসাইনের মেডিকেল প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ সংক্রান্ত সংবাদ। 

অনুসন্ধানে জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের একাধিক সংগঠন রয়েছে।  জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি নামে যে সংগঠন রয়েছে সেটি দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকায় তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থগিত রাখা হয়েছে। এর মূলে রয়েছে সাংবাদিক সমিতির একটি অংশ ছাত্রশিবির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়ায়।  

বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির ছাত্রশিবির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত অংশ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাথে লেঁয়াজো করে তাদের অবস্থান শক্ত করতে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করে আসছে। তবে তারা শাখা ছাত্রলীগের কোন সহায়তা না পাওয়ায় এবং তাদের কার্যক্রমে শাখা ছাত্রলীগ বাঁধা হওয়ায়, শিবির নিয়ন্ত্রিত অংশটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে বিতর্কিক করতে দীর্ঘদিন ধরে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ পরিবেশন করে আসছে। তারই অংশ হিসেবে সাম্প্রতিক সময়ে তাদের নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে সংবাদগুলো  প্রকাশিত হয়েছে। 

বরাবরই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম ফরাজী এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হোসাইন তাদের বিরুদ্ধে আনীত বিভিন্ন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। অনুসন্ধানে আরও জানা যায়,  বিশ্ববিদ্যালয়ের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ হয় উপাচার্য ভবন থেকেই এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হওয়ায় এসব ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের প্রভাব বিস্তারের কোন সুযোগ নেই। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হোসাইনের মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত থাকার যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটিও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এস এম আক্তার হোসাইনের যুক্ত থাকার যে সকল তথ্য তুলে ধারা হয়েছে সেটিও ভিত্তিহীন। বিশেষ করে প্রশ্নফাঁস সংক্রাত যে মেসেঞ্জার টেক্সট এর কথা বলা হচ্ছে সেটি প্রমাণ হিসেবে কোন গ্রহণযোগ্যতা পায় না। 

দীর্ঘদিন ধরে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছেন সাজিদ হোসেন,  তিনি এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে বলেন, বর্তমানে প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধন হওয়ায় খুব সহজে সাধারণ অ্যাপস অথবা এডিটিং টুলস ব্যবহার করে যেকোনো ছবি বা ভিডিয়ো যে কেউ এডিট (সম্পাদনা) করতে পারে। এছাড়া যে কোন স্কিনশটও তৈরি করা যায়। আর এভাবেই সহজলভ্য এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিপক্ষকে হয়রানি ও সম্মানহানি করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, এস এম আক্তার হোসাইনের যে স্কিনশট এর কথা বলা হচ্ছে এটি যে কেউ খুব সহজে তৈরি করতে পারবেন। সুতরাং এগুলো কোনও অভিযোগের জন্য দালিলিক প্রমাণ হতে পারে না।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হোসাইন বলেন, মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করি ফলে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হয়। স্বাধীনতা বিরোধীরা বিভিন্ন সময় প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে থাকে। সুতরাং এসকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে রাজপথে সক্রিয় থাকতে হবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments