Thursday, October 30, 2025
Google search engine
Homeঅপরাধফতুল্লায় অন্তঃসত্ত্বা নারীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় মামলা

ফতুল্লায় অন্তঃসত্ত্বা নারীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় মামলা

ফতুল্লায় অন্তঃসত্ত্বা নারীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় মামলা


মোঃ মোয়াশেল ভূঁইয়াঃ-ফতুল্লায় অন্তঃসত্ত্বা নারীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় নিহতের মা রেহেনা বেগম বাদী হয়ে নিহতের স্বামী সোহেল আহম্মেদ অপু (৩৮) সহ অজ্ঞাত নামা আরো ২/৩ জনকে আসামী করে  ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। 

নিহত রাবেয়া বেগম (৩৫) ভোলা জেলার দক্ষিন আইচা থানার তাল্লুক কান্দা গ্রামের তোফাজ্জল সিকদারের মেয়ে। সে স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে ফতুল্লার হরিহর পাড়া শান্তিনগরস্থ সেলিম মিয়ার বাড়ীর ভাউাটিয়া বাসায় বসবাস করেন।

মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, বিগত ১৫/১৬ বৎসর পূর্বে বরিশাল জেলার কোতোয়ালি থানার চর নেহালগঞ্জের মোস্তফা হাওলাদারের পুত্র মো. সোহেল আহম্মেদ অপুর সাথে বাদীর মেয়ে নিহত রাবেয়া বেগমের সাথে বিয়ে হয়।

গত ৮ বছর ধরে নিহত রাবেয়া বেগম স্ব পরিবারে ফতুল্লা থানার হরিহরপাড়া শান্তিনগরস্থ সেলিম মিয়ার বাড়ীর ২য় তলা বিল্ডিংয়ের নীচ তলায় ভাড়াটিয়া হিসবে বসবাস করে আসছে। তাদের সংসারে চারটি পুত্র সন্তান রয়েছে এবং নিহত রাবেয়া ছয়-সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলো।

বিয়ের পর থেকে অপু পর নারী আসক্ত হয়ে প্রায় সময় ভিন্ন নারীদের নিয়ে রাত্রি যাপন করতো। বিষয়টি বাদীর মেয়ে  জানতে পেরে বাধাসহ  প্রতিবাদ করলে নিহত রাবেয়ার  উপর চরম  ভাবে ক্ষিপ্ত হয় সোহেল আহম্মেদ অপু। বিষয়টি বাদীর মেয়ে রাবেয়া  বাড়ীর মালিক সেলিম ও তার বড় ভাই দুলাল কে জানাইলে তাহারা বিরোধ মিমাংসা করার চেষ্টা করে। 

অপরদিকে নিহত রাবেয়ার পূর্ব পরিচিত আব্দুল মান্নান শুভ (২৪) এর সাথে টাকা লেনদেন ছিলো এবং গ্রেপ্তারকৃত সোহেল আহম্মেদ অপুর সাথে অগোচরে বাসায় যাতায়াত করতো। এ নিয়ে  প্রায় দুই মাস ধরে পারিবারিক কোলহলের কারনে গ্রেপ্তারকৃত সোহেল বাসা থেকে বের হয়ে অনত্র বসবাস শুরু করে। 

তখন থেকে বাদীর মেয়ে রাবেয়ার বড় ছেলে নাঈম (১৬) কে দাদীর বাড়ী এবং মেঝো ছেলে নাহিদ(১৩) কে নানী বাসায় পাঠিয়ে দিয়ে ছয় ও দশ বছর বয়সী দুই ছেলেকে নিয়ে বর্তমান ঠিকানার বাসায় নিহত বসবাস করে আসছিলো। 

সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সোহেল আহম্মেদ অপু বাসায় আসায় আসলে  নিহত রাবেয়ার ছোট ছেলে জাহিদুল নিজ রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পরে। পরে মঙ্গলবার (১ মার্চ) সকাল দশটার দিকে নিহতের সেজো ছেলে সাঈদ দেখতে পায় যে নিহত রাবেয়ার রুমের ষ্টীলের দরজা খোলা এবং  শরীর দিয়া রক্ত পড়তে দেখে বাদীকে ফোন করে জানায়।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান, নিহতের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার পরপর নিহতের স্বামী মালার এজাহার নামীয় প্রধান  আসামী সোহেল আহম্মেদ অপুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠালে  ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments