নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়নগঞ্জের বাটপার ও প্রতারক মান্নান ভুইয়ার সহযোগিতায় ফখরুল হাসান বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষন করে শান্তাকে।
গত ২০ জুলাই ২৪ ইং তারিখে মাধবীলতা প্লাজার ৪র্থ তলায় মানব কল্যান পরিষদের অফিসে ফখরুলকে ইনজয় করার সুযোগ দিয়ে মান্নান নীচে সরে থাকে বলে জানায় ভুক্তভোগী শান্তা আক্তার। মাধুবীলতা প্লাজা ছাড়াও অনেকের বাসা ও ভাড়া বাসা করে স্বামী স্ত্রীর ন্যায় রাত কাটিয়েছে লম্পট ফখরুল হাসান।
নারায়নগঞ্জের ফখরুল হাসান, শান্তা আক্তার নামের মেয়ের সাথে ৫/৬ বছর সম্পর্ক রেখে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঐ মেয়ের জীবন নস্ট করে আফহিয়া ইসরাত নামের এক মেয়েকে বিয়ে করলে শান্তা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করে শান্তা বলেন, ফখরুল হাসান(৩৮), পিতা-খলিলুর রহমান, সাং-৬৯, ডন চেম্বার (বাবুল সাহেবের বাড়ি), ১২নং ওয়ার্ড সিটি কর্পোরেশন, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল, জেলা-নারায়ণগঞ্জ, স্থায়ী ঠিকানা-শ্রীকাইল রোয়াচালা, থানা-মুরাদ নগর, জেলা-কুমিল্লা, ২)মান্নান ভুইয়া (৪২),পিতা-আবদুল হান্নান, সাং-আইলপাড়া,(পাঠানতুলি কবরস্থানের পাশে), থানা-সিদ্দিরগঞ্জ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ, হালে মাধুবী লতা প্লাজা, চাষাড়া, থানা-নারায়ণগঞ্জ সদর ৩) ঊম্মে হাবিবা পলাশ স্বামী-অজ্ঞাত সাং-বাড্ডা থানা-বাড্ডা, জেলা-ঢাকা। ২নং ও ৩নং বিবাদীর প্ররোচনায় ও সহযোগিতায় ১নং বিবাদী আমার সাথে দীর্ঘ ৫/৬ বছর হইতে গভীর ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে তোলে আমার জীবন নস্ট করে ও বিগত ৫/৬ বছর আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২নং ও ৩নং বিবাদীর প্রতেক্ষ্য ও পরোক্ষ সহযোগিতায় আমাকে অনেকবার বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে ধর্ষন করে বা শারীরিকভাবে ভোগ করে। ২নং ও ৩নং বিবাদীর নির্দেশে গত ২৩/০৫/২৫ ইং তারিখে শুক্রবার হোয়াটস অ্যাপে সন্ধ্যা ৬.৩৯ মিনিটে মেসেজ দেয়,”তুই কি বুঝস না, আমি বিবাহিত।” আরও অনেক আজে বাজে কথা বলে, আমাকে প্রান নাশের হুমকি দেয়। গত ০৫/০৫/২৫ ইং তারিখ রাত ৯ ঘটিকার সময় নারায়ণগঞ্জ সদর থানার আওতাধীন ২নং বিবাদীর অফিস চাষাড়া মাধুবীলতা প্লাজায় নিয়ে আমার মতের বিরুদ্ধে আমার ইজ্জত লুটে নেয় এবং কিছু দিনের মধ্যে বিয়ে করবে বলে ওয়াদা করে। কিন্তু বর্তমানে তালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করে বিগত ২৩/০৫/২৫ ইং তারিখে শুক্রবার আনুমানিক রাতে ১০ টার দিকে চাষাড়া বালুর মাঠস্থ “সুলতান ডাইন” এ আমার অগোচরে, আমার সাথে প্রতারনা করে ফতুল্লা থানায় বসবাসরত আফহিয়া ইসরাত নামের মেয়েকে বিয়ে করে।
গত ১০/০৫/২৫-ইং তারিখে সন্ধ্যায় ৭ টায় নবীগঞ্জ গুদারা ঘাট (পশ্চিম পাড়ে) ডেকে এনে আমার নিকট আরও ৫,০০,০০০(পাঁচ লক্ষ) টাকা যৌতুক দাবী করে এবং টাকা দিলে আমাকে বিয়ে করবে, না দিলে করবে না। আরও বলে,”তোরে ভোগ করেছি বলেই কি বিয়ে করতে হবে। তোরে নিয়ে রং তামাশা করেছি। বিয়ে করার জন্য নয়। তুই ফকিন্নির মেয়ে, ৫ লক্ষ টাকা দিতে পারবি না। আবার বিয়ের চিন্তা করিছ।” এই বলে, আমাকে গালে থাপ্পড় মারে এবং আমার হাতে থাকা এন্ড্রয়েট মোবাইলটি ছিনিয়ে নিয়ে শীতলক্ষা নদীতে ফেলে দেয় এবং হুমকি দেয় যে,”কাউকে বললে টুকরা টুকরা করে তোকে মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দিব।”বিগত ৫/৬ বছরে আমার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৫,০০,০০০ (পাঁচ লক্ষ) টাকা প্রতারণা করে ও বিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যায়। নারায়ণগঞ্জ সদর থানার গোগনগর মনির ভাইয়ের বাসায় নেয়ে, কাশিপুর নুরুল ভাইকে দিয়ে বাসা ভাড়া করে প্রায় ৪ মাস, বন্দর রেল লাইন নদীর বাসায় নিয়ে, নতুন কোর্ট লামিয়ার বাসায় নিয়ে, বন্দর কুশিয়ারা মামী আশুরার বাসায় নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২নং ও ৩নং বিবাদীর প্ররোচনায় আমাকে বার বার ধর্ষন করে। আমার গর্ভে ফখরুলের সন্তান আসলে ঐ সন্তান নস্ট করার জন্য ফখরুল মেডিসিন এনে আমাকে জোড় করে খাইয়িয়ে দিয়ে আমার গর্ভপাত ঘটায়। বর্তমানে ফখরুল বিএনপির নেতাদের ক্ষমতা দেখিয়ে আমাকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করছে, প্রান নাশের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। আমি আমার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি।
এই বিষয়ে শান্তা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।