Thursday, October 30, 2025
Google search engine
Homeঅপরাধমামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ, ডিএনএ পরীক্ষায় মিল পাওয়া গেছে--সরকারী কৌঁসুলি রকিব...

মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ, ডিএনএ পরীক্ষায় মিল পাওয়া গেছে–সরকারী কৌঁসুলি রকিব উদ্দিন


নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ-
হেফাজত ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্নার ধর্ষণ মামলায় আরও দু্ইজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। 

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে এই সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

মামলায় সাক্ষ্য প্রদানকারীরা হলেনঃ-মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনারগাঁ থানার তৎকালীন পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম ও ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিয়িক অ্যাসিড) এনালিস্ট কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম। 

এ নিয়ে এই মামলায় ৪০ সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে মামুনুল হককে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে পুলিশ প্রহরায় পুণরায় কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতের সরকারী কৌঁসুলি রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ডিএনএ পরীক্ষক রবিউল ইসলাম তার সাক্ষ্যে আদালতে বলেছেন, তোয়ালের ভিতরে পুরুষের বীর্য পাওয়া গেছে। সেই বীর্য  মামুনুল হকের রক্তের সঙ্গে মিল পাওয়া গেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তার সাক্ষ্যে বলেছেন, রয়েল রিসোর্টের ঘটনার পর রিসোর্টের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বাদী জান্নাত আরা ঝর্না জানিয়েছেন, মামুনুল হক তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এখানে এনে ধর্ষণ করেছেন। এই নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় মোট ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য ২০২১ সালের ৩রা এপ্রিল সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টে ঝর্ণা বেগম নামের এক নারীর সাথে অবস্থানকালে স্থানীয় ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা মামুনুল হককে আটক করে। পরে হেফাজতের নেতাকর্মীরা খবর পেয়ে রিসোর্ট ভাংচুর করে মামুনুল হককে মুক্ত করে নিয়ে যায়। ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় ঝর্ণা বেগম বাদি হয়ে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments