Tuesday, October 28, 2025
Google search engine
Homeঅপরাধসেকমো জাহাঙ্গীরকে ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়ের চেষ্টা ডিভোর্সি নারী সোনিয়ার বিরুদ্ধে

সেকমো জাহাঙ্গীরকে ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়ের চেষ্টা ডিভোর্সি নারী সোনিয়ার বিরুদ্ধে

সেকমো জাহাঙ্গীরকে ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়ের চেষ্টা ডিভোর্সি নারী সোনিয়ার বিরুদ্ধে


সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ-পরপুরুষকে ফাঁদে ফেলে অর্থ-সম্পদ লুট, জালিয়াতি ও প্রতারণা করে নিরীহ মানুষদের মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে নানা ধরনের হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের ডিভোর্সি নারী বহুলালোচিত সনিয়া আক্তারের বিরুদ্ধে।

সনিয়ার ফাঁদে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন একাধিক ব্যক্তি।

তার প্রতারণা ও জালিয়াতিসহ অপকর্মের ফিরিস্তি তুলে ধরে তাকে গ্রেফতার এবং কঠোর শাস্তির দাবিতে শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সোনারগাঁয়ের স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জাহাঙ্গীর আলম নামে এক উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার।

এসময় তিনি জানান, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ছোট সাদিপুর এলাকার মৃত ইউসুফের মেয়ে এক সন্তানের জননী ডিভোর্সি সনিয়া আক্তার (২৮), নামে এক নারী তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ করে ফাঁসানোর জন্য অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি। দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন সময় তাহার অসৎ উদ্দেশ্য হাছিল ও অর্থনৈতিক লাভবানের জন্য আমাকে প্রথমে প্রেমের ফাঁদে ফেলার চেষ্ঠা করেছেন। আমি তার প্রেমের ফাঁদে না পরার পর বহুরূপী সনিয়া আমাকে বিভিন্ন সময়ে অচেনা নাম্বার থেকে মোবাইল ফোনে বিরক্ত করিত এবং আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে রাস্তা ঘাটে হেনস্থা করতে মরিয়া হয়ে উঠে। এমনকি আমার মান সম্মানহানিসহ চাকরীচ্যুত করা এমনকি প্রাণ নাশের ও হুমকী দিত। যাহার কারণে আমি গত ২০-০১-২০১৯ ইং তারিখে সোনারগাঁ থানায় আমার জীবনের নিরাপত্তার জন্য একটি সাধারন ডাইরী করি । যাহার ডাইরি নং -৮১২।

এই মহিলার বিষয়টি আমার স্ত্রী খাদিজাতুল কুবরা (উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার) একই জায়গায় কর্মরত ঘটনার প্রথম থেকেই শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ন অবগত রয়েছেন। এই মহিলাটি আমার নামে স্থানীয় বিভিন্ন মহলে গুজব রটিয়ে কোন প্রকার প্রমাণ পেশ করতে না পারায় এবং আমাকে দোষী সাব্যস্থ করতে না পারায় স্থানীয় কিছু কুচক্রি মহলের প্ররোচণায় পড়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ এবং গণমাধ্যমে মিথ্যা, বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করিয়ে আমার মানসম্মান ক্ষুন্ন করিয়া আসিতেছে।  আমি এই মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ ও সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি, সেই সাথে প্রতারক নারীর বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। 

এদিকে প্রতিবেদক বহুরূপী নারী সনিয়া আক্তারের পিত্রালয় ছোট সাদিপুর গ্রামে গেলে এলাকাবাসী জানান, সনিয়ার মূল টার্গেট সম্পদশালী ব্যবসায়ী, উচ্চপদস্থ চাকরিজীবী ও প্রবাসী পুরুষরা। প্রথমে টার্গেট নিশ্চিত করে তিনি ধীরে ধীরে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে নিজ দেহের সৌন্দর্য ও কথার ফুলঝুঁড়ির মারপ্যাঁচে আটকে ফেলেন টার্গেটকৃত পুরুষদের।

গত প্রায় ১৩ বছর আগে প্রথমে সনিয়ার বিয়ে হয় এক বিবাহিত ব্যক্তির সঙ্গে। ওই স্বামী তখন রাজমিস্ত্রির কাজ করিত ছোট সাদিপুর গ্রামে। সনিয়া প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেন ওই রাজমিস্ত্রিকে। পরবর্তীতে সেই রাজমিস্ত্রি কিছুদিন যেতে না যেতেই, তার উশৃঙ্খল জীবনযাপনের কারণে আগের বউ ছেলে মেয়ের কাছে চলে যায় ওই রাজমিস্ত্রি ফলে একের পর এক নতুন করে ফাঁদ খুঁজতে থাকে নতুন নতুন পুরুষ।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments