প্রি-পেইড মিটার লাগাতে বাধা দেওয়ায় গ্রাহকের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার -১
আজকের সংবাদ ডেক্সঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা সনমান্দি এলাকায় প্রি-পেইড মিটার লাগাতে বাধা দেওয়ায় গ্রাহকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগিরা।
এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বলছেন তাদের লোকজনদের মারধর ও মালামাল ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাখাওয়াত নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গতকাল সোমবার(২৪ জুন) সকালের দিকে উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকায় প্রি-পেইড মিটার লাগাতে বাধা দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সোনারগাঁও থানায় একটি মামলা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার সকালে বিদ্যুৎ অফিস প্রতিপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী লাইনম্যান মোঃ রাহমাতুল্লাহ, মোঃ আজগর আলীসহ ১২ বিদ্যুতের শ্রমিক মিটার প্রতিস্থাপন এর জন্য ২০০ প্রি-পেইড মিটার নিয়ে উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের চরোলাল গ্রামে যাওয়ার পথে বাংলা বাজার গিয়ে তাদের ব্যবহৃত গাড়ি থেকে বৈদ্যুতিক মিটার নামানোর পর স্থানীয় লোকজন ওই এলাকায় প্রিপেইড মিটার সংযোগ দিতে বাধা প্রয়োগ করেন। একপর্যায়ে লাইনম্যান সহ তাদের সবাইকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে আহত ও প্রায় ৫ লাখ টাকার প্রি-পেইড মিটার ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ ভাঙচুর করে।
এঘটনায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরো ১৫/২০ কে অজ্ঞাত দেখিয়ে নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -১ এর জেনারেল ম্যানেজার সুজন কুমার সরকার বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গ্রাহকরা জানান, প্রি-পেইড মিটার একটি ঝামেলা,হঠাৎ মিটার লক হয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, পল্লী বিদ্যুতের লাইনে পল্লী বিদ্যুতের লোকছাড়া কাজ করা নিষিদ্ধ বিধায় তাদের ডেকেও তাৎক্ষণিক পাওয়া সম্ভব না, পূর্বে ছাপানো বিলিং সিস্টেম ছিল কিন্তু বর্তমানে ফ্ল্যাট রেটে ইচ্ছে মতো টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে, ইর্মাজেন্সি ব্যালেন্সের জন্য অতিরিক্ত টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে, প্রি-পেইড মিটার বিলের সাথে পূর্বে স্থাপিত সেন্ট্রাল মিটারেরও চার্জ কাটা যায়,প্রতি রিচার্জেই একটি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা কেটে নেওয়া হয়, মেয়াদ কতদিন- কত ইউনিট খরচ হলো ডিসপ্লেতে এরকম কোন তথ্য থাকে না।
এরকম অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে পল্লী বিদ্যুতের এই প্রি-পেইড মিটারের বিরুদ্ধে,পূর্বে প্রতি মিটারে প্রতি মাসে ১০ টাকা ভাড়া ছিল। এখন এই ভাড়া চারগুন বেড়ে ৪০ টাকা হয়েছে। বিভিন্ন চার্জের নামেও চার্জ যুক্ত হয়েছে। কোনো রকম বিদ্যুৎ বিল বৃদ্ধি না পেলেও প্রি-পেইড সিস্টেমে বিল বেড়েছে হিসাব ছাড়া। গ্রাহকরা আরোও বলেন তারা পূর্বের ডিজিটাল মিটারেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন।
উল্লেখ্য গত রোববার(২৩ জুন)সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রি-পেইড মিটার বন্ধের দাবিতে গ্রাহকরা উপজেলার কাঁচপুর চেঙ্গাইন এলাকায় নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ অফিসের সামনে বিক্ষোভ সহ বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে। পরে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দিলে এলাকাবাসী অবরোধ তুলে নেয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন