সোনারগাঁয়ে পল্লী বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার বন্ধের ও মিথ্যা মামলার দাবীতে মানববন্ধন।
আজকের সংবাদ ডেক্সঃ সোনারগাঁয়ের বাংলাবাজারে পল্লী বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার বন্ধের ও মিথ্যা মামলার দাবীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
বুধবার সকাল ১০ টায় বাংলাবাজারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলার সর্বত্র আগামী কয়েকদিনের মধ্যে স্থাপনকৃত সকল প্রিপেইড মিটার সরিয়ে না নিলে এবং নতুন কোন প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হলে বক্তারা বৃহত্তম কর্মসূচীর ঘোষণা দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারী দেন।
পল্লী বিদ্যুতের এই প্রিপেইড মিটারকে রাক্ষুসে আক্ষা দিয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশে বাংলাবাজারসহ আশেপাশের এলাকার রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ সহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহন করেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারী এলাকাবাসী বলেন, জনগনের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে সরকারের উচিৎ প্রিপেইড মিটার বন্ধ করে দেওয়া। তাদের যে বিদ্যুৎ বিল আগে আসতো প্রিপেইড মিটার স্থাপনের পর তা বেড়ে দ্বিগুনেরও বেশী দাড়িয়েছে।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ও ছোট বড় সকল শ্রেণী পেশার মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যা আয় করি তার অর্ধেক যদি বিদ্যুৎ বিলই দিতে হয় তাহলে স্ত্রী-ছেলে-মেয়ে নিয়ে আমাদের জীবন ধারণ করা অসম্ভব হয়ে যাবে।
মানববন্ধনে বক্তরা আরোও বলেন, জনগণের স্বার্থে এ প্রি-পেইড মিটার দেয়া বন্ধ করতে হবে। এ প্রি-পেইড মিটারে দ্বিগুণ বিল গুনতে হয় গ্রাহকদের। এছাড়াও বিভিন্ন চার্জের নামে অর্ধেক টাকা কেটে নেওয়া হয়। প্রতি বার রিচার্জে এমনভাবে টাকা কেটে নেওয়া হয়। এ মিটার আমরা চাই না। তারপর সোনারগাঁঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জোড় পূর্বক এ মিটার লাগাতে আসে।
গত সোমবার সকালে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন সনমান্দি চরলাল এলাকার জোড়পূর্বক প্রি-পেইড মিটার লাগানো শুরু করে। এতে এলাকাবাসী সবাই মিলে আমরা বাধাঁ প্রদান করি। এসময় পল্লী বিদ্যুতের লোকজন পুলিশের ভয় দেখিয়ে আমাদের বাড়িতে মিটার লাগানো শুরু করে। এনিয়ে এলাকাবাসীর সাথে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকজনের কথা কাটাকাটি হয় এর জের ধরে মঙ্গলবার বিকালে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকজন আমাদের এলাকার ১১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ শাখোয়াত নামের এক গ্রাহককে গ্রেপ্তার করে কোর্টে চালাল করে। পল্লী বিদ্যুতের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় আমরা সনমান্দি বাসী তীব্র প্রতিবাদ জানাই সাথে শাখোয়াতকে নিঃশর্ত মুক্তি দাবিসহ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।
পল্লী বিদ্যুৎ যদি অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না করে তাহলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ করে দেয়াসহ কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হবে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যো সকল ওয়ার্ডের কয়েক হাজার জনগণকে নিয়ে আরও একটি মানববন্ধন হবার কথা রয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন