সোনারগাঁয়ে মহসিন কবিরাজের ডিজিটাল ভণ্ডামি
আজকের সংবাদ ডেস্কঃ নারায়নণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার আষাঢ়িয়ারচর গ্রামের সোনা মিয়া বেপারীর ছেলে ভন্ড কবিরাজ মহসিন দয়াল (৩২) দীর্ঘদিন থেকে চিকিৎসার নামে মানুষকে প্রতারিত করে আসছে এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ করলে থানা থেকে অভিযান চালায় পুলিশ।
অভিযানের আগেই আস্তানা ছেঁড়ে পালিয়ে যায় ভন্ড ফকির মহসিন। কিন্তু এর শেষে কোথায় ? অন্ধ বিশ্বাসে আসা নারী পুরুষদেরকে তার সহযোগীদের দিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে ফুঁ দিয়ে দেয়া হচ্ছে পানি পড়া ও তেল পড়া।
গত ২৪ জুলাই বুধবার সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন সোনারগাঁ উপজেলার আষাঢ়িয়ারচর গ্রামের সোনা মিয়া বেপারীর ছেলে ভন্ড কবিরাজ মহসিন দয়াল (৩২) বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী আমেনা বেগম (২৯)। আমেনা বেগমের সরল বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে ভন্ড কবিরাজ মহসিন দয়াল লাখ খানেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে জানান।
ইতিপূর্বে প্রতিবেশী মারফত আলীর ছেলে মাতু মিয়া (৩৮) অভিযোগ করে বলেন, গত মার্চ মাসে তার বিবাহিতা স্ত্রী এক সন্তানের জননী শিউলী বেগম (৩৫) রহস্যজনকভাবে তার দেয়া ৪ ভরি স্বর্ণের গহনা ও নগদ ২ লক্ষ টাকাসহ ভন্ড কবিরাজ মহসিনের বাড়িতে আত্মগোপন করে। খবর পেয়ে তার শিউলীকে আনতে গেলে ভন্ড কবিরাজ মহসিন ও তার সহযোগিরা মাতু মিয়াকে শারীরিক নির্যাতন করে। ভন্ড কবিরাজ মহসিন ও তার পালিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, পুলিশের ডিআইজি, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানান।
এলাকাবাসী জানায় দীর্ঘদিন যাবত ভন্ড কবিরাজ মহসিন বিভিন্ন ভাবে সাধারণ মানুষকে রোগমুক্তির নামে প্রতারিত করে আসছে। মূলত তার কুপরামর্শেই মাতু মিয়ার স্ত্রী শিউলী তার স্বামীর দেয়া গহনা ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে মহসিনের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। যাদুটোনা, অবলা নারীদের গোপন সমস্যার স্থায়ী সমাধান, সম্পদ ফিরে পাওয়ার আশ্বাস দিয়ে মানুষদের কে প্রতারিত করে আসছে।
সোনারগাঁ থানার পুলিশ উপ পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ বলেন, মহসিন দীর্ঘদিন যাবত সোনারগাঁয়ে ভন্ডামী করে আসছে। আমরা তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। আমরা কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে তার কয়েকটি ব্যানার ও পোষ্টার উদ্ধার করতে পেরেছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে যেকোন সময় তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন