ঈদ উপলক্ষে জমে উঠেছে বাংলার তাজমহল ও পিরামিড
আজকের সংবাদ ডেক্সঃপবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অবস্থিত রাজমনি তাজমহল ও পিরামিড।বিনোদন কেন্দ্রটিতে দেশের বিভিন্ন জেলার হাজার হাজার দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীর লক্ষ করা গেছে।২০১৫ সালে বিনোদন প্রেমী বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ ভূইয়া রাজমনি ভারতে অবস্থিত বিখ্যাত তাজমহলের আদলে বাংলার তাজমহল এবং মিশরের পিরামিডের আদলে রাজমনি পিরামিড তৈরী করেন।বাংলাদেশে তাজমহল ও পিরামিড তৈরী হওয়ায় স্বল্প খরচে দেশের ভ্রমণ পিপাশু দর্শনার্থীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একনজর দেখার জন্য ভির জমাচ্ছেন।
কিন্তু কিছুদিন যাবত একটি অসাধু কুচক্রী মহল তাজমহল ও পিরামিডের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে প্রভাবিত করার পায়তারা করছে।
এমন মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল সরেজমিনে তাজমহল ও পিরামিডে গিয়ে দেখা যায়,অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে প্রায় ২৫ বিঘা জমিতে গড়ে উঠেছে তাজমহল ও পিরামিড। এই রাজমনি তাজমহল ও পিরামিডকে ঘিরে আশেপাশের প্রায় ২০০ দুইশত পরিবারের লোকজন দোকানপাট ও ব্যবসায় করে জীবিকা নির্বাহ করে।দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত দর্শনার্থীদের যানবাহনের সুবিধার্থে প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ সিএনজি অটোরিকশা প্রতিনিয়ত কাজ করছে।
ফরিদপুর রাজবাড়ী এলাকা থেকে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী মিনারুল হোসেন ও রিতা আক্তার দম্পতির সাথে কথা হলে তারা জানান,আমি ঢাকায় একটি মেডিশিন কোম্পানিতে চাকরী করি,ঈদ আনন্দে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের পেরাব এলাকায় অবস্থিত রাজমনি তাজমহল ও পিরামিড দেখে খুব আনন্দ পেয়েছি।আমাদের মতো মধ্যবিত্ত মানুষদের জন্য ভারতে গিয়ে তাজমহল দেখা এবং সুদূর মিশরে গিয়ে পিরামিড দেখা কোনদিনও সম্ভব না সেক্ষেত্রে রাজমনি তাজমহল ও পিরামিড আমাদের কাছে সত্যিই প্রকৃত তাজমহল ও পিরামিডের আনন্দ দিচ্ছে।আমরা চাই সরকারী ভাবে ও স্থানীয়ভাবে যেনো বীরমুক্তিযোদ্ধা রাজমনিকে তাজমহল ও পিরামিডের আরোও উন্নতি কল্পে সহায়তা করা।
এসময় আরও লক্ষ করা যায়,বিভিন্ন জেলার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থীরা তাদের অভিভাবকদের সাথে মনের আনন্দে বাংলার তাজমহল ও পিরামিড ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এখানে আরেকটি বিষয় লক্ষনীয় যে,তাজমহল ও পিরামিডের ভিতরে কোন দম্পতি ঘুরতে আসলে অবশ্যই তাদের নাম ঠিকানাসহ একটি তথ্য ফরম পুরন করে ভিতরে ঢুকতে হয় এবং বাহির হওয়ার সময় ফরমে স্বাক্ষর দিয়ে বের হতে হয়।এখানে কোন রকম অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার কোন সুযোগ নেই।তাছাড়া থানা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রায় সময় পুলিশ পাঠিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয় বলে জানিয়েছেন রাজমনি তাজমহল ও পিরামিডের কর্তৃপক্ষ।
পিরামিডের সৌন্দর্য অবলোকন করতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মন্ত্রী এমপি এবং স্থানীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয়গন স্বপরিবারে তাজমহল ভ্রমণ করতে এসেছেন এবং এর প্রতিষ্ঠাতা বীরমুক্তিযোদ্ধা রাজমনিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
তাজমহল ও পিরামিডের সৌন্দর্য প্রসঙ্গে স্থানীয় সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান বলেন,আমার মতে সোনারগাঁওয়ে এমন একটি বিনোদন কেন্দ্র হওয়ায় এই এলাকার শত শত লোক ব্যবসায় করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে,তাছাড়া যারা ভারত কিংবা মিশরে গিয়ে তাজমহল ও পিরামিড দেখতে পারেননি তাদের জন্য বাংলার তাজমহল ও পিরামিড সত্যিই একটি আনন্দ উপভোগের কেন্দ্র বিন্দু হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে।আমার জানা মতে তাজমহল কর্তৃপক্ষ সকল আইন কানুন মেনেই পর্যটনকেন্দ্র পরিচালনা করে যাচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন