হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের উন্নয়নকে বাংলাদেশের মানুষ এখনও মনে প্রানে অনুভব করে---রওশন এরশাদ
আজকের সংবাদ ডেস্কঃ বাংলার শান্তিপ্রিয় মানুষ সাবেক রাস্ট্রপতি হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের উন্নয়নমূলক কাজের কথা এখনো স্বরণ করে এবং তাকে মনে প্রাণে ভালোবাসে। তিনি বাংলাদেশকে ইসলামী রাস্ট্র হিসেবে ঘোষনা করেন ও শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন সহ উপজেলা পরিষদ গঠন ছাড়াও ক্ষমতায় থাকাকালীন বহু উন্নয়নমূলক কাজ করে মানুষের ভালোবাসায় তাদের অন্তরে বেচে আছেন।জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের স্মরনে নারায়ণগঞ্জ- ৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমানের আয়োজনে নারায়ণগঞ্জ বন্দরে এরশাদের চেহলাম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং এরশাদের সহধর্মিণী রওশন এরশাদ।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টায় বন্দর ঘাট সংলগ্ন ময়মনসিংপট্টি এলাকায় জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চেহলাম উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান বলেন, আমরা জাতীয়পার্টী বাংলাদেশের উন্নয়নের রাজনীতি করি। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আমাকে শান্তির পথ দেখিয়েছেন। আমাদের শান্তিপূর্ণ ও উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করার শিক্ষা দিয়ে গেছেন।
এসময় নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য জননেতা লিয়াকত হোসেন খোকার নেতৃত্বে সোনারগাঁও থেকে প্রতিটি ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডের কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে মিলাদ মাহফিলে অংশ গ্রহণ করেন।
জননেতা লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন”হুসাইন মুহম্মদ এরশাদ আমাকে পিতার মতো স্নেহ করতেন তার মৃত্যুতে আমি পিতাহারা হয়েছি।তার মতো নিজেকে জনগণের একজন সেবক হিসেবে কাজে লাগিয়ে সোনারগাঁয়ের উন্নয়ণে কাজ করে যাচ্ছি।মহান আল্লাহ আমাদের প্রয়াত রাস্ট্রপতি এরশাদকে বেহেশতের সর্বোচ্চ স্থানে রাখুক।তার দেখানো সত্যের পথে উন্নয়ণের পথে থেকেই জাতীয়পার্টীর প্রতিটি নেতাকর্মী কাজ করে যাবে।জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ হয়ে উন্নয়নের সঙ্গে থাকবে।জাতীয় পার্টি উন্নয়নে সহযোগিতা করবে। জাতীয় পার্টি শান্তির সঙ্গেই থাকবে।
দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, দলটির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা,সিনিয়র যুম্ন মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা।
আরোও উপস্থিত ছিলেন,জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আলী, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রফেসর ড. শিরিন আক্তার, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবু জাহের,বন্দর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এহসান আহমেদ, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধানসহ অন্যান্য নেতাকর্মীবৃন্দ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন