উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকারের হস্তক্ষেপে ও ৯৯৯ এর সহায়তায় বাল্য বিয়ে বন্ধ হয়৷
আজকের সংবাদ ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের বাবুরকান্দী গ্রামে বাল্যবিবাহের খবর জানতে পেরে স্থানীয় এক সমাজ সেবক ৯৯৯ এ কল করে ও সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকারকে অবহিত করলে,
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকারের হস্তক্ষেপে ১২ বছর বয়সী ফাহিমার বাল্য বিয়ে বন্ধ হয়৷
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের বাবুরকান্দি গ্রামে গিয়ে সোনারগাঁ থানার উপ পরিদর্শক ইমানুর ইসলাম বাল্য বিয়ে বন্ধ করে ছাত্রীটিকে উদ্ধার করেন।
ঘটনার সূত্রপাত গত বুধবার (২৮ শে আগষ্ট) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের বাবুর কান্দি গ্রামের ঘটক আবু সিদ্দিক একই গ্রামের শাহা কামালের অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে ফাহিমার সাথে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শাহজালালের বিয়ে ঠিক করে৷ অর্থের লোভের এবং ঘটকের মন ভোলানো কথায় রাজি হয়ে যায় ফাহিমার বাবা৷ পরবর্তীতে এক স্বেচ্ছাসেবক উদ্যোগী হয়ে বিষয়টি ৯৯৯ এ কল করে ও সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকারকে অবহিত করেন৷ মুহুর্তেই স্থানীয় প্রশাসনের কাছে ফোনে বাল্যবিবাহ বন্ধের আশ্বাস পাওয়া যায়৷ স্থানীয় গ্রাম পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের যৌথ প্রচেষ্টায় বিয়েটি বন্ধ করা সম্ভব হয় এবং ফাহিমার বাবা ও পরিবারের মুরুব্বিদের কাছ থেকে মেয়েকে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেয়ার প্রতিশ্রুতি নেয়া হয়৷
সোনারগাঁ থানার উপ পরিদর্শক ইমানুর ইসলাম জানান, স্থানীয় কিছু সচেতন ব্যাক্তি ৯৯৯ এ কল করে ও ইউএনও স্যারকে অবহিত করলে ছাত্রীর বাল্য বিয়ে হচ্ছে বলে জানান। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ শে আগস্ট) ইউএনও, মহিলা বিষয়ক কর্মকাতা নাজমা আক্তার এবং সোনারগাঁ থানার পুলিশ নিয়ে মেয়ের বাড়িতে উপস্থিত হই। পরে মেয়ের অভিভাবক তাদের মেয়েকে ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেবেনা এ মর্মে লিখিত অঙ্গীকার করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন