ময়লার ভাগাড়ে বৃক্ষরোপন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন
এসআই আবুল কালাম আজাদ।
আজকের সংবাদ ডেস্কঃ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার ময়লার ভাগাড়ে বৃক্ষরোপন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন সোনারগাঁ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) আবুল কালাম আজাদ।
মঙ্গলবার(৬আগষ্ট) বিকেলে ৬ শত ফলজ, বজন, ঔষধী ও ফুলের চারা রোপন করেন তিনি। এসময় তার সাথে সহযোগী হিসেবে কাজ করেন ব্লাড ফর নারায়ণগঞ্জ নামের একটি সংগঠনের সদস্যবৃন্দ ও এলাকার যুবসমাজ।
বৃক্ষরোপনে প্রধান অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(খ)অঞ্চল খোরশেদ আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান,স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) আবুল কালাম আজাদ বলেন,দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় বাজারের বর্জ্যগুলো এ স্থানে ফেলে ভাগাড়ে পরিণত করেছে। ফলে এলাকাবাসী, শিক্ষার্থী ও পরিবহন যাত্রীদের চলাচলে বেশ সমস্যায় পড়তে হতো। বিভিন্ন গনমাধ্যম এ ময়লার ভাগাড় নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হলেও এ বিষয়ে তেমন কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন,বিষয়টি আমার নজরে এলে আমি ময়লার ভাগাড়ে ময়লা না ফেলার জন্য প্রথমে বাঁশের বেড়া দিয়ে জায়গাটি সুরক্ষিত করি।পরে ভেকু দিয়ে রাস্তা থেকে ময়লা সরিয়ে ময়লা থেকে উৎপাদিত গ্যাসগুলো ছাড়িয়ে ময়লার ভাগাড়ে পুরো করে মাটি ফেলি।আজ মঙ্গলবার ওই ময়লার ভাগাড়ে ৬ শ ফলজ, বজন, ঔষধী ও ফুলের চারা রোপন করার কাজ শুরু করেছি।
এলাকাবাসী জানায়, এস আই আজাদের এই উদ্যোগের কারনেই আজ মানুষের দীর্ঘ দিনের ভোগান্তি শেষ হলো। আমাদের প্রত্যাশিত আশা পূরন হতে চলছে। যে স্থান দিয়ে চলাচল করতে হলে নাক ও মুখ চেপে ধরে চলতে হতো এ স্থানে এখন আর নাক ও মুখ চেপে ধরে আসতে হয় না। পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতার কারনে এখন আর এ স্থানে কেউ ময়লা ফেলে না।
পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম বলেন, এ ভালো কাজের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। ময়লার ভাগাড়ের গন্ধ আমার ইউনিয়ন পরিষদে আসতো। এ উদ্যোগ নেওয়ার কারনে এখন আর সেই ময়লার গন্ধ পাওয়া যাবে না। এলাকাবাসী স্বস্তিতে এ সড়কে চলাচল করতে পারবে।
মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ময়লার ভাগাড় সরিয়ে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করেছি। সড়ক ও জনপদের উদাসীনতার কারনে সেটা সম্ভব হয়নি। পুলিশের এক কর্মকর্তা তা সম্ভব করেছেন তার জন্য আমার ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে স্বাগত জানাই। সকলের সহযোগিতায় ফলজ, বনজ ও ফুলের বাগানটি রক্ষা করা হবে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, ভালো কাজের মাধ্যমে মানুষে মনে জাগয়া করে নেওয়া খুবই সহজ। আমাদের পুলিশ কর্মকর্তা এসআই আজাদ সে প্রমাণ দিয়েছেন। তিনি তার নিজস্ব অর্থায়নে ময়লার জায়গায় মাটি ফেলে বাগানে পরিণত করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-খ- অঞ্চল খোরশেদ আলম বলেন, পুলিশ শুধু আসামী ধরার কাজেই ব্যস্ত থাকে না। সামাজিক কাজের মাধ্যমেও মানুষের অন্তরে জায়গা করে নেয়।যে জায়গায় এতোদিন ধরে ময়লার র্দূগন্ধ আসতো। এখন থেকে এ স্থানেই ফুলের ঘ্রাণ নিবে মানুষ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন