মেঘনা শিল্প নগরী স্কুল এন্ড কলেজ বালুর মাঠে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট - আজকের সংবাদ

সদ্য পাওয়া

Home Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

Post Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

শুক্রবার, ৯ আগস্ট, ২০১৯

মেঘনা শিল্প নগরী স্কুল এন্ড কলেজ বালুর মাঠে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট


মেঘনা শিল্প নগরী স্কুল এন্ড কলেজ বালুর মাঠে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট।





আজকের সংবাদ ডেস্কঃ কোরবানির ঈদের এখনো বাকি ৩ দিন,এরই মধ্যে জমে উঠেছে সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনা শিল্প নগরী স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন বালুর মাঠে জমে উঠেছে  কোরবানির বড় পশুর হাট।





ভালো দামে নিজের কষ্টে পালিত গরু বিক্রি করতে হাটে ভিড় করছেন বিক্রেতারা তেমনি পছন্দের গরুটি কিনতে আগ্রহের কমতি নেই ক্রেতাদের সকাল থেকেই হাটে নিজের পালিত পশু নিয়ে হাজির হচ্ছেন খামারি ও গরু পালনকারীরা।





বৃহস্পতিবার(৮ আগষ্ট)দুপুরের পর থেকে হাটে উপচেপড়া ভিড় হচ্ছে ক্রেতাদের। হাট ঘুরে দেখে নির্ধারিত বাজেটের মধ্যে গরু কিনছেন ক্রেতারা। এবার মেঘনা শিল্প নগরী স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন বালুর মাঠে অস্থায়ী পশুর হাটে বড় ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর সরবরাহ রয়েছে। ছোট ও মাঝারি সাইজের গরুর সরবরাহ বেশি।হাটে ৪০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে গরু ক্রয় করছেন।গরু কিনতে আসা উপজেলার বাসিন্দা মোঃ সালাউদ্দিন জানান, কোরবানির জন্য গরু কিনতে এসেছি।ঘুরে ঘুরে দেখছি কোনটি কেনা যায়।তবে দাম এবার খুব একটা বেশি না,মোটামুটি সাধ্যের মধ্যেই আছে অপর ক্রেতা লোকমান মিয়া জানান,৬৪ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনেছেন কোরবানির জন‍্য দাম স্বাভাবিক রয়েছে। তিনি বলেন,হাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও যথেষ্ট ভালো,হাটে ঘুরলাম এখনো কো্নো বিশৃঙ্খলা পায়নি। ,





এদিকে গরু বিক্রি করতে আসা জাহিদুল ইসলাম জানান, ৬ মাস আগে একটি গরু ২৭ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলেন।গরুর খাবার বাবদ খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা।এবার কোরবানির হাটে গরুটি বিক্রি করেছেন ৬৭  হাজার টাকা।তবে হাটে গরু বিক্রি করতে আসা অন্যান্য বিক্রেতারা বলছেন, সাধারণত বিগত বছরগুলোতে বড় আকারের গরু পালন করলেও সঠিক মূল্য পাওয়া যায়নি।দেখা গেছে মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা ও দাম দুটোই বেশি। তাই এ বছর মাঝারি সাইজের গরু পালন করেছেন।





বিক্রেতারা জানান, এখন পর্যন্ত বাজারে গরুর দাম ভালো।তবে শেষ মুহূর্তে যদি ভারতীয় গরু আমাদের হাটে আসে তাহলে দেশীয় গরুর দাম পড়ে যাবে, আমরা খামারিরা অনেক লোকসানের পড়ে যাব। তাই সরকারের কাছে জোর দাবি ভারতীয় গরু যেন সীমান্ত পাড় হয়ে বাংলাদেশে না আসে।





সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান মনির জানান,কোরবানির পশু হাটের নিরাপত্তার জন্য ইতোমধ্যেই হাট ইজারাদারদের সাথে বিশেষ সভা করেছি।এসআই ও এএসআই-এর নের্তৃত্বে ৭ থেকে ৮ সদস্যের একটি টিম হাটে টহল দিচ্ছে।তিনি আরো জানান,ক্রেতা ও বিক্রেতাগণ যাতে নিরাপত্তার সাথে পশু কেনা-বেচা ও টাকা পয়সা লেনদেন করতে পারে সেটির নিরাপত্তা নিশ্চত করা হচ্ছে।জাল টাকা শনাক্তের জন্য মেশিন বসানো হয়েছে।হাটে ছিনতাইকারী বা মলম পার্টির দৌরাত্ম্য বন্ধে সাদা পোশাকেও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছে। তবে হাটে এখনো কোনো টাকা ছিনতাইয়ের খবর পাওয়া যায়নি।





মেঘনা শিল্প নগরী স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন বালুর মাঠের অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারাদার মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক প্রধান  বলেন,প্রতি বছর এই হাটে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছোট বড় আকারের দেশীয় গরু ছাগল আসে এবং গরু ছাগলের বিক্রিও ভালো হয়। 
এদিকে পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সদ্য ঘোষিত উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম জানান, এই হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সকল ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ার কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রচুর গরু ও ছাগল আসে।এই পশুর হাট থেকে আয়ের সম্পূর্ণ টাকাই মেঘনা শিল্প নগরী স্কুল এন্ড কলেজের উন্নয়ন খাতে ব্যয় করা হয় ।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭