ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু খাদিজার চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন ইঞ্জিঃ মাসুদুর রহমান মাসুম।
আজকের সংবাদ ডেস্কঃ খাদিজা আক্তারের ১০ বছরের শৈশব জীবনে ৪ বছর ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত।ক্যান্সার সাড়াতে দেওয়া হচ্ছে কেমোথেরাপি,এমন যন্ত্রণা নিয়ে প্রায় এক বছর ধরে জীবন কাটাচ্ছে সেই ছোট্ট শিশু খাদিজা।
সেই ছোট্ট শিশু খাদিজা দিকে মানবতার হাত বাড়িয়ে দেন পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম।
খাদিজার চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতাসহ শিশু খাদিজা সুস্থ্য হওয়া পর্যন্ত তার যাবতীয় ঔষধের ব্যয়ভার গ্রহন করবেন বলে খাদিজার বাবাকে কথা দেন তিনি।
জানা যায়,জাতীয় হৃদরোগ ইনষ্টিটিউটে, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসা করান তার দরিদ্র রিক্সা চালক বাবা ইদ্রিস আলী। রিক্সা চালিয়ে জীবন নির্বাহ করা ইদ্রিস এখন সর্বস্বান্ত। মেয়ের চিকিৎসা করাতে ধার-কর্জ আর রিক্সা বিক্রি করে এবং অনেকের সহায়তায় অন্তত ৩ লাখ টাকা খরচ করেছেন। খাদিজাকে বাঁচাতে আরো টাকার প্রয়োজন,মেয়ের যন্ত্রনা ও বেঁচে থাকার আর্তনাদে অসহায় রিক্সা চালক ইদ্রিস আলী মানবিক সহযোগিতা পেয়ে আনন্দে কেঁদে ফেলেন। তিনি দু’হাত তুলে আল্লাহ্’র কাছে মোনাজাত করেন।
ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম বলেন,সবই আল্লাহ্’র ইচ্ছা,কাউকে সহযোগিতা করতে পারলে আমি অনেক আনন্দ পাই। আমারও তো সন্তান আছে কারো না কারো দোয়ার ফজিলতে আমার সন্তানেরাও আল্লাহ্’র রহমতের ছায়ায় থাকতে পারে।আল্লাহর অশেষ রহমতে শিশুটি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে সেই কামনা করি।
তিনি ভূপেন হাজারিকার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘মানুষ তো মানুষেরই জন্য’। কারো একটু সহযোগিতা দূর্বলকে যোগায় শক্তি, দিশেহারাকে দেখায় পথ, অন্ধকারে জ্বালায় আলোর মশাল।হতাশা, ব্যর্থতার অনুভুতিগুলো যখন ঘিরে ধরে তখন একটু সহযোগিতাই হয় ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য একমাত্র সম্বল।
স্থানীয় লোকজন বলেন, তিনি শুধু মানবতার হাতই বাড়াননি তিনি বিগত ১৫ বছর ধরে বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, এতিমখানা ও অনেক গরীব মানুষের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন, আমাদের পিরোজপুর ইউনিয়নের অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন, ভিজিএফের চাল শেষ হয়ে যাওয়ার পরও তিনি তার নিজস্ব অর্থায়নে গরীবের মাঝে চাল বিতরণ করেছেন।
তিনি এলাকাকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন