পুলিশ নজরদারিতে বন্দরের সাইরা গার্ডেন রিসোর্ট
আজকের সংবাদ ডেস্কঃ বন্দরে মদনপুর এলাকায় গড়ে উঠেছে সাইরা গার্ডেন নামের এক রিসোর্ট।রিসোর্টের নামে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ,ভেতরে মাদকদ্রব্যের ছড়াছড়ি। সম্প্রতি ভ্রাম্যমান ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালিয়ে ওই রিসোর্টের বিভিন্ন কক্ষ থেকে বিয়ার,কনডম,সেক্স ট্যাবলেট,মেয়েদের ব্যবহৃত পোশাক-পরিচ্ছদ,যৌন উত্তেজক পানীয় দ্রব্যসহ আনুসাঙ্গিক অবৈধ জিনিসপত্র জব্দ করা হয়েছিল।
রাজধানীসহ সারা দেশের ন্যায় সাইরা গার্ডেন রিসোর্টটিও পুলিশের নজরধারিতে রেখেছেন বলে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) রফিকুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)এবং থানা পুলিশ রিসোর্টটিতে যৌথ তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করেন।এটি নিয়মিত অভিযানের একটি অংশ।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে,উপজেলার মদনপুর ইউপি মদনপুর-প্রভাকরদী সড়কের ডান পাশে নাজিমউদ্দিন ভূঁইয়া ডিগ্রী কলেজের বিপরিত দিকে গড়ে তুলেন সাইরা গার্ডেন।শুরু থেকেই চলছে নারীদের দিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ,মাদক দ্রব্যসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড। দীর্ঘ দিন এসব কর্মকান্ডে স্থানীয়রা তৎকালীন জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়ার কাছে অভিযোগ করেছিলেন। স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের নিদের্শে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ মিয়ার নেতৃত্বে সাইরা গার্ডেন রিসোর্টটিতে অভিযান পরিচালনা করেন।এসময় সাইরা গার্ডেন রিসোর্টের বিভিন্ন কক্ষ থেকে বিয়ার ক্যান,কনডম,সেক্সয়েল ট্যাবলেট, মেয়েদের ব্যবহৃত পোশাক-পরিচ্ছদ,যৌন উত্তেজক পানীয় দ্রব্যসহ আনুসাঙ্গিক অবৈধ জিনিসপত্র উদ্ধার করে জব্দ করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রাজধানীসহ সারা দেশে পাঁচ তারকা হোটেল,রিসোর্ট,বাগানবাড়িগুলোতে অভিযান চালাচ্ছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।ইতিমধ্যে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়েছে ডিবি পুলিশ ও থানার পুলিশ। পুলিশের নাম মাত্র অভিযান পরিচালনা করেছেন। এসময় কাউকে আটক বা অবৈধ কিছু উদ্ধার করতে পারেনি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
সাইরা গার্ডেন রিসোর্টের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ হক বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন,আমাদের এখানে যারা গেস্ট ছিল তাদের সাথে কথাবার্তা বলেছেন পুলিশ সদস্যরা,সুইমিং পুলের বাইরে যে গেস্ট ছিল তাদের সাথে আলাপ করেছেন।তবে অবৈধ কোনো কিছুই পায়নি। পুলিশের অভিযানের বিষয়ে তিনি জানান,এন্ট্রিবুক তলব করা হলে তিনি কোনো এন্ট্রিবুক দেখাতে পারেননি। রিসোর্টে প্রবেশকারী বিভিন্ন কক্ষ ভাড়া নেয়া দর্শনার্থীদের নাম ঠিকানা সম্বলিত কোনো প্রকার রেজিস্ট্রার তালিকা এবং দর্শনার্থীদের কোন প্রকার তথ্য সংরক্ষণ করা হয়নি। তবে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযানের সময় রিসোর্টের অনুকূলে ইস্যুকৃত লাইসেন্সসহ আনুসাঙ্গিক কাগজপত্র জব্দ করে নিয়ে পুলিশের অভিযানে দেখানো হয়নি।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃরফিকুল ইসলাম বলেন,এটি আমাদের নিয়মিত কার্যক্রমেরই অংশ। রিসোর্টটিতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। তবে কাউকে আটক বা কোনো কিছু জব্দ করা হয়নি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা (ডিআইও-২) মোঃসাজ্জাদ রোমন জানান,নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ তল্লাশি চালানো হয়েছে। এসপি স্যারের নির্দেশে জেলার অন্যান্য রিসোর্ট ও হোটেলগুলোতেও এমন তল্লাশি চালানো হবে।যেখানে অনিয়ম সেখানেই অভিযান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন