প্রবাসী স্বামীর তালাকপত্র পেয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা
আজকের সংবাদ ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে প্রবাসী স্বামীর তালাকপত্র পেয়ে সোহাগী আক্তার (২৫) নামে এক সন্তানের জননীর আত্মহত্যা।
মঙ্গলবার(১০সেপ্টেম্বর)সকালে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নেট সোনাখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে,নিহতের বাপের বাড়ীতে গৃহবধূ ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ। এ সময় নিহতের শশুরকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের মামা আল আমিন সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
নিহত সোহাগী আক্তার নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের সোনাখালী গ্রামের আহম্মদ আলী মেয়ে।
নিহতের তার স্বজনরা জানান,সোমবার সকাল ১০ টায় শশুর বাড়ীর(প্রবাসী মামুনের) মামা মনির হোসেন(৬২), তার স্ত্রী হালিমা (৫০),মো: ইব্রাহীম,শরীফাসহ ৬/৭ জন নিহতের বাড়ী সোনাখালী এসে তালাকের কথা বলেন। পরে তাকে মানসিক ও শারিরীকভাবে নির্যাতন করে তারা চলে যায়। গত ৯ সেপ্টম্বর মামুন প্রবাস থেকে ইন্টারনেট ইমুর মাধ্যমে সোহাগীকে তালাক দিয়ে সে পত্র সোহাগীর কাছে পৌঁছায়।
এ তালাকপত্র (চিরকুট) পেয়ে স্বামীর সঙ্গে সোমবার রাতে সোহাগীর প্রচন্ড ঝগড়া হয়। পরে একপর্যায়ে ক্ষোভে, দুঃখে ও অভিমানে স্বামীর তালাকপত্র পেয়ে সহ্য করতে না পেরে। সোহাগী তার ছেলেকে ঘুমিয়ে রেখে বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য ইব্রাহিম ও তার পরিবারের সদস্যরা সোহাগীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল ও স্বামীর তালাক নামা দেখেই সোহাগীর মৃত্যু হয় বলে দাবি সোহগীর স্বজনদের।
জানা যায়,গত আট বছর আগে মামুনের সাথে বিয়ে হয় সোহাগীর,বিয়ের পর শশুর বাড়ীর অত্যাচারে মালিবাগ ছেলেকে নিয়ে গৃহবধূ বসবাস করছিলেন।বিবাহের পর থেকে সোহাগী ও মামুনের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। শশুর বাড়ী লোকজনের অত্যাচরে সামাজিক ভাবে একধিকভার সালিশ হলেও শেষ পযর্ন্ত নিয়তিই তার কাল হয়েছে।মামুন বন্দর উপজেলার মালিবাগ গ্রামের ইব্রাহীমের ছেলে,গত সাত বছর ধরে সে প্রবাসে রয়েছেন।
সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান বলেন, গৃহবধূ সোহাগীর আক্তারের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে নিহতের মামা মো:আল আমিন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন