উন্নয়নের কাজকে এক শ্রেণীর লোক পছন্দ করেনা---এমপি খোকা
আজকের সংবাদ ডেস্কঃ সোনারগাঁয়ে ব্যাপক ভাবে উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছি কিন্তু এক শ্রেণীর লোক এ উন্নয়ন পছন্দ করেনা বললেন নারায়ণগঞ্জ-৩ সোনারগাঁ আসনের সফল সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টীর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা।
তিনি বলেন যারা সোনারগাঁয়ের উন্নয়নের বিরোধী তারাই বাহিরের সাংবাদিকদের দিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করান।
গত রোববার(২২সেপ্টেম্বর) রূপগঞ্জের একজন সাংবাদিক মানবজমিন পত্রিকায় লিখেছেন সওজের জায়গায় এম পি খোকার অবৈধ মাকের্ট।এ সংবাদটি সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট।
গতকাল মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ-৩ সোনারগাঁ আসনের সংসদ সদস্য জননেতা লিয়াকত হোসেন খোকা এম পি সাংবাদিকদের বলেন,মানবজমিন পত্রিকায় লিখেছে সওজের ২ বিঘা জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ, আমার ভাই মনির হোসেন মাদক ব্যবসা করে ,ভাতিজা জাবেদ সন্ত্রাসী করে সওজের জায়গা দখল করে সি এন জি স্টেশন নির্মাণ করে এবং চাঁদাবাজী করে সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। তিনি আরো বলেন মোগড়াপাড়া চৌরাস্তায় অবস্থিত আইয়ুব প্লাজা সুপার মার্কেট আমার মরহুম পিতার নামে। এটা সম্পূর্ন বৈধ মার্কেট,আমি এম পি হওয়ার অনেক আগে এ মার্কেট নির্মাণ করি,আমার ভাই,ভাতিজারা সব সময় তাদেরকে দুরে রাখি।আমার ভাই সব সময় নারায়ণগঞ্জে পরে থাকে,সোনারগাঁয়ে খুব কম আসে, আমি তাদেরকে দুরে রাখি যাতে তারা কোন প্রকার টেন্ডারবাজী,চাঁদাবাজীতে জড়িয়ে না পরে তবুও তাদের নামে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় আমি বিস্মিত ও হতবম্ব। সোনারগাঁয়ে প্রায় ৬ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে তা স্বাধীনতার পর হয় নাই। রাস্তা ঘাট,স্কুল কলেজ,মসজিদ, মাদ্রাসা,মন্দিরসহ প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়ন করে যাচ্ছি । যারা স্বাধীনতার বিরোধী শক্তি তাদেরই এ উন্নয়ন চোখে পরেনা,তারাই সব সময় মিথ্যা ও গুজব রটায়।
এদিকে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় বিকেল ৩টায় মোগরাপাড়া চৌরাস্তা লিজা ফিলিং স্টেশনের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকাবাসী এসময় বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়ে উপজেলার পিরোজপুর জৈনপুর এলাকার ফল ব্যবসায়ী মামুন,মজিবুর রহমান ও লালচান বলেন,আমরা লিজা পাম্পের সামনে অস্থায়ী ভাবে টং দোকান বসিয়ে ফলের ব্যবসা করে পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে আছি।
হাইওয়ের পুলিশ এসে কিছুদিন পরপর আমাদের উৎখাত করে আবার জীবিকার তাগিদে আমরা হকাররা এখানে বসে ব্যবসা করি।আমাদের কাছ থেকে এমপি খোকা সাহেব এবং তার ভাই ভাতিজারা এমনকি প্রশাসনের লোকও কোন চাঁদা নেয়না। বরং এমপি সাহেবের মার্কেট এখানে থাকায় তার ভাই ভাতিজারা আমাদের কাছাকাছি থাকায় আমাদের উপর অন্য কেউ জুলুম অত্যাচার করতে পারেনা। তাছাড়া প্রতি ঈদে এমপি সাহেব এবং তার ভাই ভাতিজারা আমাদের সকল হকার এবং যারা এখানে ব্যবসা করে সকলকে ঈদ সামগ্রী এবং ঈদের জামা কাপড় দিয়ে সহযোগিতা করে। আমাদের কারও ছেলে মেয়ের লেখাপড়া করাতে সমস্যা হলে বা কারও মেয়েকে বিয়ে দিতে টাকার প্রয়োজন হলে এমপি সাহেব এবং তার ভাতিজা জাবেদ আমাদের আর্থিক সহায়তা করেন।আমরা এহেন মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন