অতিঃ পুলিশ সুপার খোরশেদ আলমের হস্তক্ষেপে বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ ভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে
আজকের সংবাদ ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জ-খ অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদ আলমের হস্তক্ষেপে কোন রকম বিশৃঙ্খলা ছাড়াই বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত।
বৃহস্পতিবার(২৪অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভকারীরা ভোলার ঘটনাকে কেন্দ্র মহানবী (সা:) কে কটুক্তিকরায় কটুক্তিকারীর শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে করছিল এসময় নারায়ণগঞ্জ-খ অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম শান্তনা দিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন।
এ বিষয়ে তিনি তার ব্যাক্তিগত ফেসবুকে উল্লেখ করেন, ভোলার ঘটনা কেন্দ্র করে আমার সার্কেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকা সোনারগাঁও থানাধীন হাবীবপুর ঈদগাহ মাঠে ঈমাম উলামা পরিষদের নেতৃত্বে ৫/৬ হাজার মুসল্লী জমায়েত হয়।সংবাদটা শোনামাত্র এক সেকেন্ড ও কালক্ষেপণ না করে সাথে সাথেই রওনা করি ঘটনাস্থলে। কারণ এই কয়েক হাজার জনগণের মধ্যে কিছু ধর্মীয় উগ্রপন্থী রাজনৈতিক গোষ্ঠীর কেউ থাকতে পারে বা ছিল। যাদের উদ্দেশ্য বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা। সরকার, পুলিশ থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিকদের ক্ষতি করে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করা।
পুলিশ ফোর্স না নিয়ে আমি জাস্ট একা ভীড় ঠেলে ঢুকে আজকের প্রোগ্রামের যে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তাকে খুঁজে বের করি। তার সাথে প্রাথমিক কথা বলা শেষ করে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে বলা শুরু করি, বুঝানো শুরু করি ধর্ম কখনোই আমাদের উগ্রবাদের পক্ষে না। ধর্ম ত্যাগ আর মহত্ত্ব ধারণ করে, শিখায়। আমাদের ধর্মে গুজব, মিথ্যাচার নিয়ে শক্তভাবে নিষেধাজ্ঞা করা। আমরা কেউ যেন সত্য আর মিথ্যা কে একত্রিত না করি।
তাদের সবশেষে যখন বললাম গুজবে পড়ে ভুল পথে গেলে ধর্মীয় ভাবেও ধর্মের অবমাননা। একই সাথে মানবিক বিপর্যয় নামে। পরিবেশ অস্থিতিশীল হয়। সহিংসতা বেড়ে যায় গুজব শোনে বিশ্বাসের জন্য। সত্যি মিথ্যা বিবেক দিয়ে বুঝতে হবে।
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর গর্ব ও অহংকার, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি, জনাব হাবিবুর রহমান বিপিএম(বার), পিপিএম(বার) মহোদয় এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, বিপিএম(বার), পিপিএম(বার) মহোদয়ের নির্দেশ ছিল যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা রোধের ।মুসল্লীদের কাছে জঙ্গি হামলার ভয়াবহতা এবং ইসলামে সন্ত্রাসের সাথে যে সাংঘর্ষিক অবস্থা বিরাজমান সেটা ও তুলে ধরলাম
ভোলার ঘটনায় প্রকৃতি অপরাধী খুব দ্রুতই বিচারের আওতায় আসবে। যে বা যারা আইডি হ্যাক করে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি, সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়ানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে তাদেরকে ও আইনের আওতায় আনা হবে ।সবকিছু শুনে ঈদগাহ মাঠের কয়েক হাজার জনতা আন্দোলন, কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা ছাড়াই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন