বিশ্ব কারুশিল্প শহরের মর্যাদা লাভে সোনারগাঁয়ে আনন্দ র্যালি
আজকের সংবাদ ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জ জেলার ঐতিহাসিক সোনারগাঁ বিশ্ব কারুশিল্প শহরের মর্যাদা পাওয়ায় সোনারগাঁয়ে গ্র্যাজুয়েট ফাউন্ডেশন সোনারগাঁয়ের আয়োজনে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আনন্দ র্যালি ও উৎসবের আয়োজন করে।
উপজেলার লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের ১নং গেটে সকাল ১০ টায় গ্র্যাজুয়েট ফাউন্ডেশন সোনারগাঁয়ের চেয়ারম্যান মামুন মোল্লার নেতৃত্বে র্যালিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. আহমেদ উল্লাহ। এসময় জেলা পরিষদ সদস্য ও সোনারগাঁও রিপোর্টার্স ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম বলেন, সোনারগাঁয়ের এই স্বীকৃতি সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের এই দেশের ষোল কোটি মানুষের জন্য গর্বের। আমরা ডাব্লিউসিসি কে ধন্যবাদ জানাই।
উল্লেখ্য যে, এরআগে জামদানি উৎসব আয়োজনের মূল অনুষঙ্গ হিসেবে বিশ্ব কারুশিল্প পরিষদের (ডব্লিউসিসি) কাছে সোনারগাঁকে কারুশিল্প শহরের মর্যাদা দিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল। বাংলাদেশ কারুশিল্প ফাউন্ডেশন ও জামদানি উৎসবের আয়োজক বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এ আবেদন করা হয়। অবশেষে মিলেছে সেই স্বীকৃতি। আর গৌরবময় এই স্বীকৃতি উদযাপন করতে সোনারগাঁয়ে গ্র্যাজুয়েট ফাউন্ডেশন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আনন্দ র্যালির আয়োজন করে।
অন্যদিকে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন জানায়, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আবেদনের পর গত সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ডব্লিউসিসির বিচারক দল সোনারগাঁ ঘুরে যান। এর পর জামদানি ও তাঁতশিল্পের জন্য সোনারগাঁকে বিশ্ব কারুশিল্প শহরের মর্যাদা দেওয়ার চিঠি তাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। এর মধ্য দিয়ে এই প্রথম বাংলাদেশের কোনো স্থান বিশ্ব কারুশিল্প শহরের মর্যাদা লাভ করল। বাংলাদেশ সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের উদার সহযোগিতায় সোনারগাঁয়ের জন্য এই গৌরব বয়ে এনেছে।
জামদানী শিল্পের পীঠস্থান হিসেবে সোনারগাঁয়ের সুনাম ও কৃতিত্ব বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত হবে। একই সঙ্গে উন্মোচিত হবে ক্রিয়েটিভ ট্যুরিজমের দ্বার। বিস্তৃত হবে স্থানীয় উদ্ভাবনী শক্তি, মেধা ও অভিজ্ঞতার পরীধি।
বেঙ্গল ফাউন্ডেশন আরও বলছে, সোনারগাঁয়ের স্বীকৃতি জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিজ্ঞতা ও কৌশল বিনিময়ের ক্ষেত্র তৈরি করবে। একই সঙ্গে এটি ভারতের মহাবলিপুরম (পাথর খোদাই) ও জয়পুর (গহনা), চীনের ফুশিন (অ্যাগেট), থাইল্যান্ডের সাখন নাখন (ইন্ডিগোডাই), ডেনমার্কের বর্নহোম (সিরামিক), ইরানের কারপোরগান (মৃৎশিল্প) ও ইসফাহানসহ বিশ্বের অন্যান্য কারুশিল্প শহরের সঙ্গে সহযোগিতা, অংশীদারিত্ব ও বিনিময়ের অভিনব সুযোগ সৃষ্টি হবে।
আনন্দ র্যালিতে কাঁচপুর জনকল্যান সেবা সংস্থা, সোনারগাঁ ব্রাদার্স জোনের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবীর পাশাপাশি আরো উপস্থিত ছিলেন, বিজয় টিভির সোনারগাঁও ও বন্দর উপজেলা প্রতিনিধি ও গ্র্যাজুয়েট ফাউন্ডেশন সোনারগাঁওয়ের পরিচালক মোঃ দ্বীন ইসলাম অনিক,চ্যানেল এস টিভির সিনিয়র প্রতিনিধি ও আজকের সংবাদ ডটকম এর প্রকাশক মোঃনুর নবী জনি ও অন্যান্য আরো অনেকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন