একনজরে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রার্থী অধ্যক্ষ সমীর দত্ত চাকমার সংক্ষিপ্ত সাদামাটা জীবনী
মিঠুন সাহা (পানছড়ি)খাগড়াছড়িঃ খাগড়াছড়ি জেলাতে পুরোদমে চলছে আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলের নির্বাচনী হাওয়া।
আগামী ২৪ নভেম্বর রবিবার দুপুর ২ টার সময় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হতে যাচ্ছে।
এ সম্মেলনকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা। সাথে সাধারন মানুষও কৌতুহল নিয়ে অপেক্ষা করছেন কে কে হতে যাচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক।
চায়ের দোকান হতে শুরু করে এখন সবখানে ব্যস্ততার সময় কাটাচ্ছে প্রার্থীরা।ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছে এদিক থেকে ওদিক।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষের মাঝে এখন ‘টব অব দ্য টাউন’ কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এই কমিটির ওপর নির্ভর করবে আগামী দিনের আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব। যোগ্য নেতৃত্ব না আসলে দলের নেতাকর্মীকে গুছিয়ে ও আগলিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে অনেকেই মন্তব্য করেন। নেতা নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত কাঙ্খিত সেই পদগুলো কে কে পাবেন, তার অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সম্মেলনের দিন পর্যন্ত।
এই জেলা আওয়ামীলীগের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য মত প্রকাশ করেছেন অনেকে।পছন্দের প্রার্থীদের সমর্থনকারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রচার প্রচারণা চালাতে প্রতিনিয়ত দেখা যাচ্ছে।
এই দিকে খাগড়াছড়িকে আলোকিত খাগড়াছড়ি গড়ার আশায় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রার্থীর ঘোষণা করেছেন বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি সমীর দত্ত চাকমা।গতকাল ১২ নবেম্বর তার ফেইসবুক একাউন্টে সভাপতি প্রার্থীতার ঘোষণা দিয়ে সবার কাছে দোয়া ও আশীর্বাদ চেয়েছেন।
জানা যাই,আশির দশক থেকে ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শের সৈনিক হয়ে
ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। অনেক চড়াই উতরাই পার হয়ে আজ তিনি বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে আছেন।
আশির দশকের পর থেকে যতগুলো আন্দোলনের ডাক এসেছিল সবগুলোতে নির্ভীকভাবে সাড়া দিয়েছিলেন।তার মধ্যে নব্বই এর এরশাদ বিরোধী আন্দোলন,এর পরবর্তীতে বিএনপি জামাত জোটের তান্ডবকে মোকাবিলা করতে রাজপথে প্রত্যক্ষ ভাবে সক্রিয় থেকে অহর্নিশি রাত কাটিয়েছেন সোনালী দিনের আশায়।
খাগড়াছড়ির মাটি ও মানুষের কাছে একটি শান্তিপ্রিয় ব্যক্তি হিসাবেই খ্যাতির তালিকায় আছেন চড়ান্ত পর্যায়ে।
দলের একজন নিবেদিত প্রাণ হয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে এই আওয়ামীলীগ পরিবারে কাজ করে যাচ্ছে এখনো। দল মত নির্বিশেষে সবার কাছে শ্রদ্ধাভাজন ও শান্তিপূর্ণ একজন সাদা মনের মানুষ হিসাবে খ্যাতিও রয়েছে তার।
আরো জানা যাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে সেই সময় তিনি সোহরাওয়ার্দী হলের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
দলের প্রয়োজন যখন যেখানে যাওয়া প্রয়োজন তখন নির্ধিদায় সেখানে ছুটে গেছেন।দীর্ঘ বছর ধরে দলের একজন নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন বলেও অনেকে জানান।
শুধু তাই নয় সমীর দত্ত চাকমা পানছড়ি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে অধ্যাপনা করে যাচ্ছেন এখনো।শিক্ষাখাতে ওনার সাফল্য আকাশ ছোঁয়া।পানছড়ি এবং খাগড়াছড়ির স্কুল কলেজ হতে শুরু করে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু হয়েছে ওনার হাত ধরে।ওনার লাগানো শিক্ষার বীজে আজ ডালপালা মেলেছে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায়।খাগড়াছড়িবাসীকে শিক্ষার দিক এগিয়ে নিতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন সমির দত্ত চাকমা।
সমীর দত্ত চাকমার সাথে আলাপ কালে তিনি জানানঃহিন্দু, মুসলিম বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সকলের ভালোবাসায় কাজ করে যাচ্ছি।ভবিষ্যতেও অতীতের মতো পাশে থাকবো এই টুকু বলতে পারি। সবাই আমার জন্য দোয়া ও আশীর্বাদ করবেন।আমি নির্বাচিত হলে খাগড়াছড়িতে সুষ্ঠ রাজনৈতিক চর্চার বিকাশ ঘটানোর পাশাপাশি খাগড়াছড়িকে একটি শান্তিপূর্ণ ও আলোকিত খাগড়াছড়ি গড়ার আশায় সর্বস্তরের জনগণকে সাথে নিয়ে কাজ করবো।
এদিকে-সভাপতি পদে বর্তমান কমিটির সভাপতি ও ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ও সাধারন সম্পাদক পদে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী ও মাটিরাঙ্গা পৌর মেয়র শামসুল হক,খাগড়াছড়ির শিক্ষা ও মানব বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদারের নামও শুনা যাচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন