অনিয়ম ঢাকতে স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ হাসপাতাল মালিকদের।
আজকের সংবাদ ডেস্কঃ নিজেদের অনিয়ম ঢাকতেই স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাসপাতাল মালিকরা।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাসপাতাল মালিকরা।
সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতালে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় বেসরকারী হাসপাতাল মালিক সমিতি উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় হাসপাতাল মালিকরা তাদের বক্তব্যে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগ এনে ক্ষোভ ঝাড়েন।
সোনারগাঁ সেবা জেনারেলের হাসপাতালের মালিক নুরে আলম তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের হাসপাতালে অভিজ্ঞ ডাক্তার রয়েছে। কোনো রোগী সংকটাপন্ন হলে ডাক্তার অন্য হাসপাতালে রিলিজ করে দেন। পরে রোগী রাস্তায় গিয়ে বা অন্য হাসপাতালে গিয়ে মারা গেলে তো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা ডাক্তার দায়ী নয়। তারপরও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি হয়। অথচ সাংবাদিকরা বিষয়টি তদন্ত না করেই রোগীর স্বজনদের বক্তব্য নিয়ে ঢালাওভাবে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে ওই ডাক্তার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দীর্ঘ দিনের সুনাম নষ্ট করছেন। এতে সাংবাদিকরা সাধারন মানুষের আস্থা হারাচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্ত্রী ও প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক খন্দকার রোকসানা মমতাজ সুমনা বলেন, একজন রোগীকে সুস্থ করে তোলার জন্য যথাসাধ্য চেষ্ঠা করে যান। কোনো অবস্থায় একটি রোগী মারা গেলে রোগীর স্বজনরা হট্টগোল শুরু করে হাসপাতাল ভাংচুর করে। এ সময় সাংবাদিকরা কোনো তদন্ত না করেই একজন ডাক্তারের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে লিখে যাচ্ছেন। এতে ওই ডাক্তারের র্দীঘ দিনের সুনাম নষ্ট হয়ে যায়। তাই আমরাও এখন থেকে কোনো রোগীকে ঝুকি নিয়ে চিকিৎসা না করে বিভিন্ন হাসপাতালে রিলিজ দিয়ে দেব।
উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা হালিমা সুলতানা হক বলেন, আমার হাসপাতালে ভাল স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার কারনে এখানে আগের চেয়ে বেশী রোগী আসছে। ফলে আপনাদের বেসরকারী হাসপাতালে রোগী কমে যাওয়ার কারনে প্রতিযোগিতামূলকভাবে অপারেশন করায় এ দূর্ঘটনা ঘটছে। আমি মনে করি সরকারী হাসপাতালের সেবা যতই ভালো হোক আপনাদের বেসরকারী হাসপাতালে মানুষের চাহিদা থাকবেই। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ আপনারা একটা রোগীকে সুন্দরভাবে সর্বাত্মকভাবে ২৪ ঘন্টা চিকিৎসা সেবা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। একটা ডাক্তার যখন রোগীকে আন্তরিকভাবে সেবা দিচ্ছে এটা রোগীর স্বজনরা বুঝতে পারে তাহলে রোগী মারা গেলে কেউ কোনো অভিযোগ তুলবেনা ভাংচুরের আশংকা থাকবেনা। আর সাংবাদিকরা সমাজের বিবেক তারা একটা রিপোর্ট তাদের দায়বদ্ধতা থেকেই লিখতে হয় তাই তাদের কোনো ভাবেই খাটো করে দেখার সুযোগ নেই।
এসময় সভায় ক্লিনিক গুলোর সেবার মান উন্নয়ন, ডিগ্রীধারী অভিজ্ঞ ডাক্তার ও নার্স দ্বারা রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিত করা, ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করা ও প্রতিটি ক্লিনিকে জরুরী বিভাগ বাধ্যতামূলক করা সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা করা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন