ইউএনও রাকিবুর রহমান খানের হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ বন্ধ হলো,কনের পিতাকে অর্থদন্ড।
আজকের সংবাদ ডেস্কঃ নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার দৌলরদী এলাকার পঞ্চমীঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীকে বাল্যবিবাহের ছোবল থেকে রক্ষা করলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাকিবুর রহমান খান।
শুক্রবার(১৩ডিসেম্বর)সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাকিবুর রহমান খানের হস্তক্ষেপে এ বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেয়া হয়। এসময় ভ্রাম্মমান আদালত পরিচালনা করে কনের পিতাকে নগদ ১ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।
এব্যপারে ভ্রাম্মমান আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাকিবুর রহমান খান বলেন, কনের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় এ বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।বাল্যবিবাহ দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় কনের পিতাকে নগদ এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এবং কনের প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না মর্মে মুচলেকা দিয়েছেন কনের পিতামাতা।এর ব্যক্তয় ঘটলে পিতা মাতাসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলাকাবাসী জানায়,উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়ন ৩ নং ওয়ার্ডের দৌলরদী গ্রামের শাহজাহান মিয়ার কন্যার বিবাহের দিন ধার্য ছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাকিবুর রহমান খান সকালে কনের পিত্রালয়ে গিয়ে উপস্থিত হয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে কনের বয়স ১৩ বছর ৯ মাস ০৮ দিন হওয়ায় এ বিয়ে বন্ধ করে দেন।
মিতু আক্তার স্হানীয় পঞ্চমীঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী।
ভ্রাম্মমান আদালত পরিচালনার সময় আরোও উপস্থিত ছিলেন,সোনারগাঁ থানার এসআই রুস্তম আলী,উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার নাজমা আক্তার,উপজেলা পরিষদের অফিস সহকারী মিজানুর রহমান,সনমান্দী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য তোতা মিয়া সহ আরো অনেকে।
পঞ্চমীঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জানান,
মিতু আক্তার আমাদের বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী।আমাদের কাছে জমা দেয়া কাগজে উল্লেখ আছে তার জন্ম ০৫-০৩-২০০৬ ইং তারিখ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন