মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেওয়ার সংঘর্ষে ৭জন আহতের ঘটনায় থানায় মামলা, ছবি ভাইরাল
আজকের সংবাদ ডেস্কঃ উপজেলার সন্মানদী ইউনিয়নের মগবাজার এলাকায় মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেওয়ায় সংঘর্ষে আহত হওয়ার ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আহত আরিফ হোসেন বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করলে তার ভিত্তিতে শুক্রবার মামলাটি দায়ের করা হয়।
সন্মানদী ইউনিয়নের মগবাজার এলাকার মৃত সামসুল হকের ছেলে গুলজার হোসেনকে প্রধান আসামী করে ১৩জনের নাম উল্লেখ করে এ মামলাটি দায়ের করেন।
সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মগবাজার এলাকায় মাদক ব্যবসায় বাধাঁ দেয়ায় সংঘর্ষের ঘটনায় ৭ জন আহত হন।
এ ঘটনায় আহত আরিফ হোসেন বাদি হয়ে ১৩জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে গতকাল শুক্রবার দুপুরে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তিনি আরো জানান,এ ঘটনায় মোঃসোহেল ও নয়ন নামের দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাকি আসামীদের ধরতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।
এদিকে এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানাযায়,ঘটনার দিন ও তার পরের দিন আসামিদের প্রকাশ্যে দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মহড়া দিতে। এ ব্যাপারে স্থানীয় এলাকাবাসী অস্ত্র উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
উল্লেখ,নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সন্মানদী ইউনিয়নের মগবাজার এলাকায় মৃত মোজাফ্ফর হোসেনের ছেলে হাবিবুল্লাহ মগবাজার এলাকায় তার মালিকানাধীন মার্কেটের একটি দোকান ঘর ভাড়া দেন সামসুদ্দিনের ছেলে ব্যবসায়ী আলমগীরের কাছে। সম্প্রতি হাবিবুল্লাহ ভাড়া দেয়া দোকান আলমগীরকে মাদক ব্যবসার অভিযোগ এনে ছেড়ে দিতে বলে। এতে আলমগীর মনে করে পার্শ্ববর্তী মালেকের কথায় হাবিবুল্লাহ তাকে দোকান ছাড়তে বলেছে। এতে আলমগীর ক্ষিপ্ত হয়ে মালেককে বকাঝকা করে। পরে সন্ধ্যার দিকে মালেক ও তার ভাতিজা আরিফ আলমগীরের দোকানে গিয়ে তাকে বকাঝকা করার কারন জিঙ্গেস করলে আলমগীরের সাথে তাদের তর্ক হয়। এর জের ধরে আলমগীর তার ভাই গোলজার, দিন মোহাম্মদ, দুলাল,সোহেল,আলম,নয়ন,আমির হোসেন,সাইদুর, এবাদুল্লাহ,আসাদুল্লাহ ও শাহাদাতসহ তাদের গোষ্টির আরো কয়েকজন মিলে দেশীয় ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মালেকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে মালেক, আরিফ, আক্তার ও লতিফকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। আহত ৪ জনকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। এদিকে,অপর পক্ষের ৩ জন আহত হলে সাময়িক চিকিৎসা শেষে বাড়ী চলে যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন