বন্দর ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার পায়তারা করছে প্রতারক মান্নান ভেন্ডার
বন্দর প্রতিনিধি :- বন্দর উপজেলা ধামগর ইউপি আমৈর কান্দাপাড়া বড় ভাইকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার পায়তারা করছে প্রতারক মান্নান ওরফে গুজা মান্নান ভেন্ডার । সূত্রে জানা যায় আমৈর কান্দাপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল কাদির প্রধানের দ্বিতীয় স্ত্রীর তিন ছেলে মোতালিব,মান্নান ও হান্নান। তিন ভাইয়ের মধ্যে হাজ্বী আব্দুল মোতালিব সবার বড়। পিতার বড় সন্তান হওয়ায় মোতালিব সংসারের হাল ধরতে শৈশব থেকেই চাকুরীর উদ্দেশ্যে সৌদী আরব চলে যায়। তখন মান্নান ও হান্নানের বয়স প্রায় সাত- পাঁচ বছর।আব্দুল মোতালিব ১৯৯৫ ইং সাল থেকে বিদেশে অবস্থান করে চাকুরী করে পিতার সংসারের হাল ধরে। সেই সাথে মান্নান, হান্নান সহ অন্যান্য ভাই বোনদের সমস্ত লেখাপড়ার খরচ বহন করেন। দীর্ঘ পনের বিশ বছর মোতালিব বিদেশে চাকুরী করা অবস্থায় মান্নান লেখাপড়া করে দলীল লিখক হিসেবে কর্মরত। আর ছোট ভাই হান্নানকে নিজ টাকা খরচ করে সৌদী আরবে নিয়ে যান। পিতা আব্দুল কাদির প্রধান জীবিত অবস্থায় ১৯৯৭ ইং সালে ১৩শতাংশ জমি ক্রয় করার কথা বলে সৌদী প্রবাসী মোতালীবের নিকট থেকে চল্লিশ হাজার টাকা আনে। সেই টাকায় কেনা জমি প্রতারক গুজা মান্নান ভেন্ডার তার পিতা মাতাকে জিম্মি করে নিজের নামে রেজিস্ট্রি করে নেয়। এমনকি ভাটগাও এলাকার ১২ শতাংশ জমির মধ্যে মান্নান ৮শতাংশ ও হান্নান ৪শতাংশ পিতার কাছ থেকে জোড় করে রেজিস্ট্রি করে নিয়ে নেয়। বড় ভাই মোতালীবের বিদেশে চাকুরী করার অবস্থানের সরলতার সুযোগে প্রতারক মান্নান ভেন্ডার এসকল অপকর্ম চালিয়ে যায়। তাছাড়া মোতালিবের বিদেশে চাকুরী করার সমস্ত অর্থ উপার্জন মান্নান ভেন্ডার পিতা মাতার সরলতায় আত্ব:সাৎ করে নিজ নামে নিয়ে যায়। কারন মান্নান ভেন্ডার ভাইদের মধ্যে দুষ্ট ও চতুর প্রকৃতির। দলীল লিখক হিসেবে কাগজ পত্রের হিসাব একটু বেশী বুঝে বিধায় বাড়ির ভাইদের সকল দলীল পত্র তার নিকট কুৎক্ষিগত করে নিয়েছে। নিজেকে এলাকায় কখনো আওয়ামীগ নেতা আবার কখনো মাসুম চেয়ারম্যানের বড় ভাই আবার কখনো শ্রমীকলীগ নেতা শুক্কুর মাহমুদের জামাই বলে পরিচয় দিয়ে থাকে। এভাবে একের পর এক ভাইদের উপর প্রভাব খাটায়। এলাকার নিরীহ সহজ সরল লোকদের জমিজমার জামেলা লাগিয়ে নিজের স্বার্থ উদ্ধারে প্রভাব খাটায় মান্নান। মান্নানের কারনে সমাজে বিভিন্ন ঝামেলা তৈরী হয়ে আমৈর কান্দাপাড়া সমাজ ভেঙ্গে এখন দুটি সমাজ হয়েছে। তৈরী হয়েছে দুটি মসজিদ। দুস্কৃতকারী মান্নানের বিরুদ্ধে এলাকার কোন নিরীহ লোক প্রতিবাদ করতে পারেনা। কোন প্রতিবাদ করলেই তাকে মিথ্যা মামলা হামলার ভয় দেখায়। এমনকি তার বড় ভাই মোতালিব ও তার স্ত্রীকে কয়েকবার মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। পাঁয়তারা করছে মোতালিবকে মেরে তার বাড়ি ঘর দখল করে নিতে। এমনকি মিথ্যা মামলা দিয়ে মোতালিবকে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। গত ২৪তারিখ প্রতারক মান্নান বড় ভাই মোতালিবের নামে মিথ্যা মামলা করতে মাথায় ভূয়া ভেন্ডেজ থানায় যায়। সেখানে বিজ্ঞ্য অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মান্নানের মাথার ভেন্ডেজ খুলে কোন আঘাতের আলামত না পেয়ে অপমান করে তারিয়ে দেন। তারপরে ও মান্নান বিভিন্ন ফন্দি তৈরী করে যাচ্ছে কিভাবে আপন মার পেটের ভাই মোতালিবকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো যায়। কিভাবে মোতালিবের জায়গা জমি সহ বাড়ি ঘর দখল করে নেয়া যায়। তার এ হীন কু:চরিতার্থ মনোভাব থেকে নিস্তার চায় সহজ সরল বড় ভাই হাজ্বী আব্দুল মোতালিব ও তার স্ত্রী। কারন মান্নান ভেন্ডার সমাজে অত্যন্ত একজন জঘন্য লোক। সে সম্পদের লোভে যে কোন সময় মোতালিবকে মেরে ফেলতে পারে। তাই সহযোগীতা চায় প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন