প্রশাসনের বাধাঁ নিষেধ থাকা শর্তেও অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি মহল
আজকের সংবাদ ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যের বাজার ও বারদী ইউনিয়ন এলাকায় প্রশাসনের বাধাঁ নিষেধ থাকা শর্তেও অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি মহল।
বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে থেকে অবৈধ ভাবে বালুখোরদের শক্তিশালি ১২-১৪ টি ড্রেজার দিয়ে বালুর কাঁটার মহা উৎসব। নদীর আশেপাশে গ্রামগুলো বিলিন হতে শুরু করেছে।
সোনারগাঁ উপজেলা প্রশাসন কে তোয়াক্কা না করে বালু উত্তোলনকারীরা সরকারি ইজারা না নিয়েই সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহরা দিয়ে বালু উত্তোলন করছে।পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে গেলে সুকৌশলে পালিয়ে যায় আসল বালু খেকোরা।অধরাই রয়ে যায় বালু খেকোরা।
ইতিপূর্বে এই বালুর মহল নিয়ে হত্যাকান্ডের মতো ঘটনা ঘটার পড়েও প্রশাসন বালুখেকোদের কিছু লোক ধরে সাজা দিলেও ধরাছোয়ার বাইরে রয়ে যায় মুল বালু খেকোরা। মাননীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা এম পি গত বছরের নভেম্বরের শেষ দিকে মাননীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর ডিও লেটার প্রধান করার পড়েও কোনপ্রকার প্রতিকার পায়নি সোনারগাঁবাসী বৈদ্যের বাজার ইউনিয়ন পরিষদের জন প্রতিনিধিগন ও কতিপয় রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের সহায়তায় প্রকাশে চলছে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন।
যাদের বিরুদ্ধে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে তারা সবাই স্থানীয় প্রভাবশালী। তাদের মধ্যে রয়েছে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের টেকপাড়া আমিরাবাদ গ্রামের মৃত নুরু মিয়ার ছেলে আমির হোসেন, আল আমিন ও রুহুল আমিন। তাদের নেতৃত্বে ১০/১৫ জনের একটি প্রভাবশালী- সিন্ডিকেট প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে।
উপজেলার মেঘনা নদীর আমির হোসেন,আল আমিন ও রুহুল আমিনের নেতৃত্বে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর। এ ছাড়াও বৈদ্যেরবাজার এলাকায় আমির হোসেন একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করছে, শুধু তাই নয় আমির হোসেন সমস্ত খারাপ কর্ম ও মাদকের সম্রাট বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এব্যপারে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুর রহমান খাঁন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,একটি কুচক্রী মহল রাতের অন্ধকারে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি।গত সোমবার ও বালু উত্তোলন কারীর ১৩ জনকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়েছে।আমরা প্রতিদিন ই নৌপুলিশ দ্বারা নদী পথে অভিযান অব্যাহত রাখছি এবং আগামীতেও এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি বলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন