সোনারগাঁও সরকারি কলেজের ৫০ বছর পূর্তি সুবর্ণ জয়ন্তী আনন্দ উল্লাসের মধ্যদিয়ে পালন।
তায়িন আহম্মেদ রাতুলঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও সরকারি কলেজে বর্ণিল আয়োজনে আনন্দ উল্লাসের মধ্যদিয়ে ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠান সম্পর্ন।
শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারী) সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে সুবর্ণজয়ন্তীর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে কলেজের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতিতে এক মিলন মেলায় পরিনিত হয়। এদিকে অপরূপ সাজে সজ্জিত করা হয় সোনারগাঁও সরকারি কলেজ গেট হতে শুরু করে প্রতিটি বিল্ডিং, আঙিনা, মাঠজুড়ে তৈরি করা হয় বিশাল আকৃতির প্যান্ডেল, সর্বোপরি পুরো ক্যাম্পাস বিভিন্ন রঙের লাইটিং, ফেস্টুনসহ নানান সাজে সুসজ্জিত করা হয়।
সকাল থেকে কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের মিলনমেলা,স্মৃতিচারণ,আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আ.আ. ম. স আরেফিন সিদ্দিক, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ জসিম উদ্দিন, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামিলীগের আহবায়ক এডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া,আওয়ামীলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান কালাম, এএইচএম মাসুদ দুলাল।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সোনারগাঁও সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফুজ্জামান অপু। অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেন চিত্রনায়ক রিয়াজ।
সুবর্ণ জয়ন্তীতে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা দক্ষ জনশক্তি তৈরি করার মাধ্যমে দেশে মুজিব বর্ষের সংস্কৃতি চালু করতে চান। সাধারন শিক্ষার পাশাপাশি কর্মমূখী শিক্ষা চালু হলে সহজে কাজ পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। তাহলে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করার পর আর কাউকে বেকার থাকতে হবে না। আমাদের দেশে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশ থেকে দক্ষ শ্রমিক আমদানী করে। কর্মমূখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হলে দেশেই এ দক্ষ শ্রমিক তৈরি হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা শুরু করার জন্য প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের একটি তহবিল গঠন করা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সোনারগাঁও সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আকরাম হোসেন, কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মনির হোসেন, সাবেক জিএস ফিরোজ হোসেন মিতা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার,নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, আজিজুল ইসলাম মুকুল,মোস্তফা কামাল নিলু,আক্তার মামুন শিপার, রফিকুল হায়দার বাবু প্রমূখ।
অনুষ্ঠানের স্পন্সর ও সার্বিক সহযোগিতা করেছেন ইউ এস বাংলা গ্রুপ’র চেয়ারম্যান ও কলেজের প্রাক্তন ছাত্র আব্দুল্লাহ্ আল মামুন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন জি বাংলার সারেগামাপা খ্যাত শিল্পী নোবেল, ক্লোজআপ ওয়ান খ্যাত শিল্পী রাজিব ও সাইদা ইসলাম প্রাপ্তিসহ বিভিন্ন শিল্পীরা। অনুষ্ঠানে ইউএস বাংলা গ্রুপের পক্ষ থেকে র্যাফেল ড্র’ অনুষ্ঠিত হয়। র্যাফেল ড্র’তে ইউএস বাংলা গ্রুপের পক্ষ থেকে দেশ-বিদেশ ভ্রমণের জন্য বিমানের ১৫টি টিকেট প্রদান করা হবে। সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব মাতিয়েছেন রিয়াজ-পূর্ণিমা,ভারতের সারে-গা-মা-পা- অনুষ্ঠানের পুরস্কার প্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী নোবেল ও ক্লোজআপ ওয়ান খ্যাত কণ্ঠশিল্পী রাজিব,সুতরাং ও কন্ঠশিল্পী শিরা সহ আরো অনেকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন