নবাগত ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেলো অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী।
তায়িন আহম্মেদ রাতুলঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সাদিয়া আক্তার(১২)নামের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেলো।
শুক্রবার(০৬ মার্চ)দুপুরে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের বাইশটেকী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়,সাদিয়া আক্তার সাদিপুর ইউনিয়নের স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ও একই ইউনিয়নের বাইশেটেকী গ্রামের মোঃশাহাদাত হোসেন এর মেয়ে।গতকাল বৃহস্পতিবার তার গায়ে হলুদ অনুষ্ঠিত হয়,আজ শুক্রবার ছিল তার বিয়ে। গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পেরে এ বিয়ে বন্ধ করা হয়। এবং স্কুল ছাত্রীর বয়স১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিতে বিরত থাকবে মর্মে ছাত্রীর পিতার কাছে মুচলেকা নেওয়া হয়।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুল ইসলাম বলেন,উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের বাইশেটেকী এলাকায় বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে বিয়ে বন্ধ করি।
পরে স্কুল ছাত্রীর পিতা -মাতার কাছে,বাল্যবিবাহ নারী শিক্ষার অগ্রগতি ব্যাহত হওয়া ছাড়াও বাল্য বিবাহের কারনে মাতৃমৃত্যুর ঝুঁকি।অল্পবয়সী মেয়ের বিয়ের পর জন্ম নেওয়া নবজাতক বেঁচে থাকলেও অনেক সময় তাকে নানা শারীরিক ও মানষিক জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়৷ অপ্রাপ্তবয়স্ক মা প্রতিবন্ধী শিশু জন্মদান করতে পারে৷বাল্য বিবাহের ফলে বিবাহ বিচ্ছেদের আশংকা তৈরী হওয়া ছাড়াও নানা পারিবারিক অশান্তি দেখা দেওয়া৷বাল্যবিবাহ শুধু ব্যক্তিগত ক্ষতি করে না, পারিবারিক,সামাজিক এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রের ক্ষতি সাধনেও সহায়ক সহ বাল্যবিবাহের বিভিন্ন কুফল তুলে ধরা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম বলেন, অর্থাভাবে বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া ছাত্রী লেখাপড়া বন্ধ না করার লক্ষ্যে বিদ্যালয়ের বেতন ও বই-পুস্তক যাবতীয় খরচ বহন করবেন।তিনি বলেন, স্কুল ছাত্রী সাদিয়া আক্তার যদি হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ নিতে চায়,তাহলে উপজেলা থেকে তাকে বুটিক, সেলাইসহ সব ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন