সোনারগাঁয়ে হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে পালিয়ে শশুরবাড়িতে আত্মগোপনে প্রবাসী
আজকের সংবাদ ডেস্কঃ হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন বাহরাইন থেকে আসা এক প্রবাসী। তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে শনিবার সোনারগাঁয়ের স্বাস্থ্য পরিদর্শক মফিউদ্দিন প্রধান জানান, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রবাসীদের মধ্যে ওই প্রবাসীকে খুঁজে পাচ্ছেন না স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
শনিবার (২১ মার্চ) দুপুর সাড়ে ৩টায় সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম স্বাস্থ্য পরিদর্শক মফিউদ্দিন প্রধানসহ সোনারগাঁও থানা পুলিশকে সাথে নিয়ে পৌরসভার চিলারবাগের রাহিমা বেগমের মেয়ের জামাই ধনু মিয়ার ছেলে বাহরাইন প্রবাসী মোঃ লিটন (৩১) কে আটক করতে গেলে প্রশাসনের খবর পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম জানান, গতকাল রাতে সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পারি একজন প্রবাসি এই এলাকায় আত্মীয় বাড়িতে আছেন এবং ইচ্ছেমত এলাকায় ও বাজারে ঘোরাঘুরি করেন। পরে তার খোঁজে সেই বাসায় গেলে তিনি পালিয়ে যান। আসলে এভাবে পালিয়ে কেউ কাউকে বাঁচাতে পারবেন না, পালিয়ে গিয়ে উনি দেশের সাধারণ জনগন, পরিবার ও আত্মীয়স্বজন যাদের সাথে মিশছেন তাদেরকেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের মধ্যে ফেলছেন। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা গণমাধ্যমে প্রচার করুন যেন এভাবে আর কেউ না পালায় বরং প্রশাসনকে সহযোগীতা করেন। প্রবাসী বা বিদেশ থেকে যারা আসছেন তাদেরকে উদ্দেশ্য করে আরো বলেন, আপনার সাময়িক দূরত্ব, আপনার নাগরিক দায়িত্বের মধ্যে পরে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ ইমতিয়াজের দেয়া তথ্যমতে নারায়ণাগঞ্জ জেলায় সোনারগাঁ উপজেলায় বিদেশ ফেরত লোকের সঠিক সংখ্যা তাদের হাতে নেই। তবে সোনারগাঁ উপজেলায় বিদেশ ফেরত লোকের প্রায় সংখ্যা ৭শত ৩২জন। অভিযোগ রয়েছে যারা বিদেশ থেকে ফিরেছেন তারা কোয়ারেন্টারে না থেকে যে যার মত ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এতে সহজেই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে। তবে গতকাল মঙ্গলবার করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির জরুরি সভায় প্রবাসীদের তথ্য পেতে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি করা হয়েছে বলে জানা যায়।
অন্যদিকে দত্তপাড়ায় মালেয়শিয়া থেকে ঘুরে আসা এক ব্যবসায়ীর নামে হোম কোয়ারেন্টাইন সঠিক ভাবে না মানার অভিযোগ পাওয়ায় কে স্বাস্থ্য পরিদর্শক সতর্ক করে দেন।
এসময় সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন এলাকায় করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনা বৃদ্ধিতে বরংবং বিদেশ থেকে আসা প্রবাসীদের কে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় ইউএনও কে সহায়তা করেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক মনিরুজ্জামান মনির, দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার আল আমিন তুষার, আনন্দ টিভির সাংবাদিক মাজহারুল ইসলাম, চ্যানেল এস টিভির সিনিয়র প্রতিনিধি নুরনবী জনি,চ্যানেল এস টিভির সোনারগাঁ প্রতিনিধী হাবীবুর রহমান,গনমানুষের আওয়াজের প্রতিনিধী কবির, যায়যায়দিন পত্রিকা সোনারগাঁ প্রতিনিধি কামরুজ্জামান রানা সাংবাদিক ইমরান ও ৭১ টিভির ক্যামেরা ম্যান শাহিন শাকিসহ আরো অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন