করোনাভাইরাসের কারণে মাস্কের চাহিদা বেড়ে গেছে।
আজকের সংবাদ ডেস্কঃ চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর সাড়ে তিনশ'র বেশি মানুষ মারা গেছে এবং এখন পর্যন্ত প্রায় ১৭ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে।
তাই মাস্ক কেনার জন্য লম্বা লাইন পড়েছে অনেক স্থানে।
কিন্তু ভাইরাস ঠেকাতে কতটা কাজ করে এসব মাস্ক?
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর চারদিকে মাস্কের দাম বেড়ে গেছে। চীনে প্রতিদিন কয়েক কোটি মাস্ক তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশে কয়েকটি দোকানে টিস্যু মাস্ক পাঁচ থেকে আট টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সুস্থ থাকতে যা নিয়ে এত কাড়াকাড়ি, তা দিয়ে কি আসলেই নিরাপদ থাকা যায়?
খুব ভালো সুবিধা পাওয়ার নজির অল্প,’ জানিয়ে ইংল্যান্ডের সরকারি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. জ্যাক ডানিং দ্য ইন্ডিপেনডেন্টকে বলেন, ‘মুখের মাস্ক অবশ্যই সঠিকভাবে পরতে হবে। বারবার পাল্টাতে হবে। ঠিকভাবে খুলতে হবে। না হলে কোনো কাজে আসবে না।’
সার্জিকাল মাস্ক প্রথম দেখা যায় ১৭০০ সালের দিকে। কিন্তু ১৯১৯ সালের আগ পর্যন্ত সেটি সাধারণ মানুষের কাছে দেখা যায়নি। ওই বছর স্পেন থেকে একটি ফ্লু ছড়িয়ে পড়ার পর মাস্কের ব্যবহার শুরু হয়।
বিশেজ্ঞরা বলছেন, মাস্ক ঢিল থাকলে ব্যাকটেরিয়া সহজে নাক অথবা মুখ দিয়ে প্রবেশ করতে পারে। যে করোনাভাইরাস নিয়ে এত কথা হচ্ছে, সেটি আবার চোখ দিয়েও প্রবেশ করে!
সংক্রামক রোগের আন্তর্জাতিক জার্নালে ২০০৮ সালের একটি জরিপে দেখা যায়, ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ ঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করেন না অথবা করতে জানেন না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন