করোনা উপসর্গের লাশের দাফন করলো ইউএনও ও সাংবাদিকরা।
আজকের সংবাদ ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর সেনপাড়া এলাকায় জিল্লুর রহমান ৬৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ জ্বর কাশি ও শ্বাসকষ্ট এ মারা যায়।
রোববার সকালে উপজেলার কাঁচপুর সেনপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বৃদ্ধর মৃত্যুর খবর পেয়ে করোনা আতঙ্কে আত্মীয়- স্বজনসহ এলাকাবাসী সবাই দূরে সরে যায়। এলাকার কেউ করোনা রোগী সন্দেহে দাফন করতে না আসায় অবশেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃসাইদুল ইসলাম এর সহায়তা দাফন সম্পন্ন করা হয়।
মৃত জিল্লুর রহমান কিশোরগঞ্জ জেলার বাসিন্দা তিনি ১৫ বছর যাবৎ কাচপুর সেনপাড়ার সোহেল মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
রোববার বিকেলেই নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআর এ পাঠানো হয়। পরে লাশ কাঁচপুর কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইদুল ইসলাম নিজে দাঁড়িয়ে থেকে কবর খোঁড়া ও লাশ গোসলের ব্যবস্থা করেন।মাগরিব নামাজের পর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশগ্রহন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃসাইদুল ইসলাম,স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ ওমর,উপজেলা সি-এটু-ইউএনও রাসেদুল ইসলাম, সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরির্দশক মোঃমাসুদ রানা, এএসআই নাসির উদ্দিন,সোনারগাঁ রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক মোঃনুর নবী জনি, সাংবাদিক হাবীবুর রহমান,সাংবাদিক কামরুজ্জামান রানা,কাঁচপুর ৪নং ওয়ার্ডের শাহআলম মেম্বার,জেলা ছাত্রলীগের ২নং সদস্য সজিব ও স্বেচ্ছাসেবক সহ মাত্র ৮/১০ জন মানুষ।
লাশের গোসল ও কবরে নামানোর পুরো কাজটি করেন সোনারগাঁ রিপোর্টার্স ক্লাবের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক কামরুজ্জামান রানা ও একজন স্বেচ্ছাসেবক।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ সময় লাশ ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্টদের পিপিঈ সরবরাহ করেন। ডাঃ পলাশ কুমার সাহা উপস্থিত থেকে পিপিই পরিধান ও খোলার নিয়ম শিখিয়ে দেন। লাশ দাফনকারী সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবক দলকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং সবাইকে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন