জনসমাগম করে বিয়ে করায় চাকরি থেকে বরখাস্ত পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক শাহিন কবির।
আজকের সংবাদ ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণের আশঙ্কায় লকডাউন ঘোষণা করা জেলা নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে জনসমাগম করে বিয়ে করায় চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক শাহিন কবির।
সোনারগাঁ উপজেলার আমিনপুর পৌরসভার পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক শাহিনকে বৃহস্পতিবার চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে আদেশ জারি করা হয়েছে।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকা বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় থেকে শাহিনকে বরখাস্ত করে আদেশের একটি কপি সোনারগাঁয়ে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল একই উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নে গিয়ে বিয়ের জন্য ওই কর্মকর্তা জনসমাগম করেছেন।
কার এ কাজ বর্তমান আইন ও সরকারি চাকরিবিধি পরিপন্থি বিধায় তাকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ এর বিধি ১২ মোতাবেক চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।’
প্রচলিত বিধি মোতাবেক বরখাস্তকালীন তিনি খোরপোষভাতা পাবেন বলে আদেশ উল্লেখ করা হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় নারায়ণগঞ্জকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার।
লকডাউনের মধ্যে গত মঙ্গলবার ধুমধাম করে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন শাহিন। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করে।
পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গোচাইট গ্রামের পিয়ার হোসেনের ছেলে শাহিনের ওইদিন সন্ধ্যায় সোনারগাঁও পৌরসভার গোচাইট গ্রামে এ বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক শাহীন উপজেলার সনমান্দি গ্রামের জামাল উদ্দিনের মেয়ে নাদিয়া আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ের দিন অনেক আগে থেকেই ধার্য করা ছিল।
৭০ জন বরযাত্রী নিয়ে সরকারি ওই কর্মকর্তা বিয়ে করতে যান। বিয়ে বাড়িতে আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে খাওয়া দাওয়াও হয়। সেখানেই কাজী বিয়ে পড়ান।
পরে এলাকাবাসী খবর পেয়ে করোনাভাইরাসের এ পরিস্থিতিতে এতো লোক নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে আসায় বরপক্ষের সমালোচনা করেন।
উল্লেখ্য,দেশজুড়ে করোনা আতঙ্কের মধ্যে ধুমধাম করে মেয়ের বিয়ে দেয়ায় এর আগে গত ২৩ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন মো. শাহ আলমকে স্বাস্থ্য অধিদফতরে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়েছিল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন