মানবতার অন্যন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে করোনার প্রাদুর্ভাবে টাকার অভাবে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশু বিক্রি করতে চাওয়ায় সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক, পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম ওই শিশু সন্তানসহ অন্য তিন সন্তানদের দায়িত্ব নিলেন ।
মঙ্গলবার (৫ মে) পিরোজপুর ইউনিয়নের আষাঢ়িয়ার চর গ্রামের ভাড়াটিয়া বাবুর্চি সাইফুল ইসলামের স্ত্রী সদ্য ভূমিষ্ট শিশুর মা মনি বেগম।
সিলেটের শাহপরান থানার কল্য গ্রামের বাসিন্দা স্ত্রী মনি (২৭) বেগমকে পিরোজপুর ইউনিয়নের আষারিয়ারচর গ্রামে ভাড়াটিয়া বাসায় গর্ভবতী অবস্থায় রেখে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় স্বামী সাইফুল ইসলাম (৩২)। সোমবার সোনারগাঁও রিপোর্টাস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক কামরুজ্জামান রানা ও সাংগঠনিক সম্পাদক নুর নবী জনি ও সেচ্ছাসেবী জুয়েলসহ মনি বেগমকে সিএনজি করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। পরে টাকার অভাবে ওই কন্যা শিশুকে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। এ বিষয়টি সাংবাদিকরা ইউএনও কে জানালে তার নজরে আসে।
সেদিনই বিকেল ৫ ঘটিকায় সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সাইদুল ইসলাম ওই মা ও শিশুকে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ত্রাণ সামগ্রী ও নগদ আর্থিক অনুদান প্রদান করেন।
এদিকে আজ সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম সোনারগাঁও রিপোর্টাস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক নুর নবী জনির কাছে ঘটনার বিস্তারিত শুনে তিনি তাৎক্ষণিক অসহায় পরিবারের দায়িত্ব নিয়ে ওই মা ও শিশুকে পিরোজপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য মো: আলমগীর কবির ও সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ আহম্মেদ ও সাংবাদিক নুর নবী জনি, সাংবাদিক রানার মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন।
এসময় ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম সাংবাদিকদের বলেন,টাকার অভাবে একজন মা তার সন্তানকে বিক্রি করে দেবেন কোন ভাবে মেনে নেওয়া যায় না। এটা একটি মর্মস্পর্শী ঘটনা। শুধু প্রাদুর্ভাবেই নয়। সারাজীবন আমি ওই অসহায় পরিবারের পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন