মাদক ব্যবসায় বাধা ও প্রেম সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিন জনকে কুপিয়ে আহত।
সোনারগাঁ প্রতিনিধীঃ মাদক ব্যবসায় বাধা ও প্রেম সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে তিন জনকে কুপিয়ে আহত। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন রকমতউল্লাহ সরকার, হাবিব সরকার, সবুজ ভূইয়া,রিটন ভূইয়া,হাফেজ সরকার।
এ ঘটনায় সানাউল্লাহ সরকার ও হাফিজ সরকার মজিবুর মেম্বারের ছেলে মেজো ভুইয়াসহ হামলাকারী ১০/১২ জনের নামে দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বুধবার রাতে উপজেলার পিরোজপুর ইউপির দুধঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার পিরোজপুর ইউপির দুধঘাটা গ্রামে গত বুধবার সন্ধ্যায় রহমতউল্লাহ ও স্থানীয় যুবক তুহিন ভূইয়ার সাথে প্রেম সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তুহিন ভূইয়া নেতৃত্বে রাজু,আশাদুল ভূইয়া,মেজু ভূইয়া,রোমান,সুমনসহ আরো ৬/৭জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রহমতউল্লার উপর আতর্কিত হামলা চালায়।
এসময় রহমতুল্লাহর ছোট ভাই হাবিব,সবুজ ভূইয়া,রিটন ভূইয়া,এগিয়ে আসলে তাদেরকেও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
এসময় স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দেখে রহমতউল্লাহকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অপরদিকে মজিবর মেম্বারের ছেলে মেজু ভূইঁয়া আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল চিকিৎসাধীন আছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী জানান,মজিবর মেম্বার চারটি বিয়ে করেন চার ঘরের ছেলেরা মিলে মাদক ব্যবসা আর জুয়ার আসর বসিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, কেহ যদি প্রতিবাদ করে তাদের উপর নেমে আসে নির্মম পরিনতি। শুধু তাইই নয় তার ছেলে মেজু ভূইঁয়া কিছুদিন আগেও দৈনিক আমাদের কন্ঠ পত্রিকার সাংবাদিক এস এম রাজুকে হত্যার হুমকি দেয়। ১০/১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হইয়া তার বসত বাড়ীতে গিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়,
সাংবাদিক এস এম রাজু সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ ও করেন এবং তখন সোনারগাঁ থানা পুলিশের সহযোগিতার সাংবাদিক এস এম রাজুকে উদ্ধার করা হয়।
এলাকাবাসী আরোও জানায়,মজিবর মেম্বারের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। গত একবছর আগে মাদকের টাকার জন্য নিজের জন্মদাতা পিতা মজিবর মেম্বারকে ও ছুরিকাঘাত করে তার বড় সন্তান রোমান,পরে মজিবর মেম্বার ছেলেকে রিহ্যাব সেন্টারে পাঠায় রিহ্যাবে কিছু দিন থেকে ফিরে এসে আবারও বেপরোয়া হয়ে ওঠে এ বিষয়ে এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এবিষয়ে সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন