সোনারগাঁয়ে পিটিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রের পা ভেঙে দিয়েছে শিক্ষক। - আজকের সংবাদ

সদ্য পাওয়া

Home Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

Post Top Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭

বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর, ২০২০

সোনারগাঁয়ে পিটিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রের পা ভেঙে দিয়েছে শিক্ষক।


সোনারগাঁয়ে পিটিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রের পা ভেঙে দিয়েছে শিক্ষক।





সোনারগাঁ প্রতিনিধি : সোনারগাঁয়ে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে জুনায়েদ (১০) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রকে বেঁধে বেধড়ক পিটিয়ে পা ভেঙে দিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা মহিবুল ইসলাম। ঘটনার পর থেকে শিক্ষক পলাতক রয়েছে।





আহত ছাত্র ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউপির আনন্দবাজার এলাকার বসনদরদী গ্রামের গোলজার হোসেনের ছেলে জুনায়েদ, স্থানীয় আল কাসিম নূরানী কিন্ডারগার্টেন ও মাদ্রাসার নজরানা বিভাগের ছাত্র।





গত সোমবার সকালে উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মহিবুল ইসলাম ছাত্র জুনায়েদকে হাত পা বেঁধে কাঠের ডাসা দিয়ে বেধড়ক পিটুনি দেয়। এতে তার ডান পা ভেঙে যায়। পরে ছাত্র জুনায়েদকে শিক্ষক মহিবুল ইসলাম বাড়ি চলে যেতে বলে ও কাউকে কিছু জানাতে নিষেধ করে বিভিন্ন ভয় দেখায়। পরে ছাত্র জুনায়েদ বাড়িতে গেলে তার বাবা মা ভাই তাকে স্থানীয় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে এক্সরে করে দেখতে পায় তার পা লাঠির আঘাতে ফেটে গিয়েছে। পরে তার পা প্লাস্টার করে দেয়া হয়। কি কারণে তাকে মেরেছে জানতে চাইলে ছাত্র জুনায়েদ জানায়, বিনা কারণে চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে হাত পা বেঁধে কাঠ দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙে দেয়। তবে সে কোন চুরির বিষয়ে জানেনা। এদিকে ঘটনার রাতেই ছাত্রের বাবা মাদ্রাসায় গেলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ঐ শিক্ষকের পক্ষ হয়ে ক্ষমা চায় ও সেই শিক্ষককে মাদ্রাসা থেকে বিদায় করে দেয় এবং ছাত্রের চিকিৎসার জন্য মাত্র ২ হাজার টাকা দেয়। এদিকে ছাত্রের শরীর আরো খারাপ হলে বুধবার দুপুরে সোনারগাঁও সেবা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় তার বাবা মা ও ভাই। এই বিষয়ে ছাত্রের বাবা থানায় অভিযোগ দেয়ার কথা বললেও পরে রহস্যজনক কারণে থানায় অভিযোগ দেয়নি। এদিকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও পরিচালক মাওলানা ইয়াকুব মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং তার মীমাংসা হয়ে গেছে বলে জানিয়ে সম্পূর্ণ তথ্য না দিয়ে ফোন কেটে দেন। অনেক চেষ্টা করেও তার সাথে আর যোগাযোগ করা যায়নি। পরে ঘটনাস্থল সেই মাদ্রাসায় গেলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে অন্য শিক্ষকরা এ বিষয়ে মুখ খুলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। মাদ্রাসায় গিয়ে আরো দেখা যায় ছাত্রদের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কোন আইন মানা হচ্ছে না। এই বিষয়ে সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, মাদ্রাসা ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৯২৬৮৭০৭২৭