সোনারগাঁয়ে আইনজীবীর বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ
মোঃনুর নবী জনিঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে শফুরউদ্দিন নামের এক আইনজিবীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ করেছেন এক গৃহবধূ। গত তিন বছর ধরে এ গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠে।
এ ঘটনায় গৃহবধু বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন বিশেষ ট্রাইবুনাল আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২৮৮। মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন আদালত। আদালত আগামী ২৫ অক্টোবর এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদী আদালতে দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করেন, সোনারগাঁ পৌরসভার কৃষ্ণপুরা গ্রামের সামসুদ্দিনের ছেলে সবুরউদ্দিনের দীর্ঘ দিন ধরে পাশ্ববর্তী বাড়ির গৃহবধুকে তার স্বামী কাজে বাড়ির বাইরে থাকলে গত তিন বছর ধরে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে। এতে রাজী না হওয়ার সে কৌশলে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এতে ব্যর্থ হয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর বিকেলে ঘরে একা শুয়ে থাকায় ঘরের দরজার খিল ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে মুখ ও দুই হাত গামছা দিয়ে বেঁধে বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তিতে মুখ থেকে গামছা খুলে গেলে ডাক চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পাশ্ববর্তী ৪ জন মহিলাকে কিল ঘুষি মারিয়া চলে যাওয়ার সময় কাউকে না বলতে হুমকি দিয়ে যায়। পরে আত্মীয় স্বজন ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের অবগত করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহন করে।
ঘটনার পরদিন সোনারগাঁ থানায় মামলা করতে গেলে থানার ওসি মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীতে ওই গৃহবধু নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন বিশেষ ট্রাইবুনাল আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
এদিকে গত চলতি মাসের ১৮ অক্টোবর শনিবার বিকেলে সোনারগাঁ থানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহেদুল আলমের কাছে ওই গৃহবধু অ্যাডভোকেট শফুরউদ্দিনের ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ করে বিচার দাবী করেন।
নির্যাতিত গৃহবধু জানান, আইনজীবীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করায় বাদি ও তার সন্তানদের হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। এ বিষয়ে নিরাপত্তাহীনতার রয়েছেন নির্যাতিত গৃহবধু। আমি তার সঠিক বিচার দাবী করছি।
অভিযুক্ত অ্যাডভোকেট শফুরউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মহিলার অভিযোগ মিথ্যা। এ ঘটনার সাথে আমি জড়িত না।
সোনারগাঁ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলাটি আমার জানা মতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন