মেঘনা নদীতে অবৈধ চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট নৌ শ্রমিক ও নৌযান মালিক সমিতি
সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও ও মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানার মেঘনা নদীর অবৈধ চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট নৌ শ্রমিক ও নৌ মালিক পক্ষ।
দীর্ঘদিন যাবত মেঘনা নদী দিয়ে চলাচল করা নৌযানে নৌ ট্যাক্স ও সরকার নির্ধারিত ঠিকাদার ফি এর নামে নদীর আশেপাশে গড়ে উঠেছে অবৈধ চাঁদাবাজি সিন্ডিকেট।
কিছুদিন যাবত এই সিন্ডিকেটের মূলহোতা বৈদ্যেরবাজার এলাকার আরজান আলীর ছেলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী শওকত (২৫), একই ইউনিয়নের সাতভাইয়াপাড়ার এরশাদের ছেলে সাইদুল (৩০) ও অজ্ঞাত ভাড়াটিয়া ডাকাত রনি নামের চাঁদাবাজ চক্রের অত্যাচারে নিঃস হয়ে পরেছে এই রুটে চলাচল কারী বাল্কহেড ও ড্রেজার ব্যবসায়ী পরিবার। সরকারি নৌ ট্যাক্সের নামে দেশীয় অস্র ও লাঠিসোটার মুখে অতিরিক্ত টাকা না দিতে চাইলে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নৌপথে যান চলাচলে সরকার নির্ধারিত ফি শূন্য থেকে ৫০০ মেট্রিকটন পর্যন্ত ২৫ টাকা, ৫০০ থেকে ১০০০ মেট্রিকটন পর্যন্ত ১২৫ টাকা এবং ১০০০ থেকে ৩০০০ হাজার মেট্রিকটন পর্যন্ত সরকার নির্ধারিত নৌ ফিয়ের পরিমান ২৫০ টাকা হলেও এই পথে চলাচল করা নৌযানে সর্বনিম্ন ফি দিতে হয় ১২০০ টাকা। কে বা কারা এই ফি নির্ধারণ করেছে তা জানতে চাইলে অতিরিক্ত ফ আদায় করা কেউ তার সঠিক উত্তর দিতে পারেনি।
নৌযান মালিক আল আমিন জানান, অতিরিক্ত টাকা না দিতে চাইলে জাহাজের কর্মকর্তা কর্মচারিদের মারধর করে৷ গজারি লাঠি, দেশিয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে আহত করে। চাঁদা আদায়ের রশিদ চাইলে তা দিতে অস্বীকৃতি জানান এই নৌ চাঁদাবাজ চক্র। নৌ চাদাবাজীতে নৌ পুলিশের সম্পৃক্ততা কথা স্বীকার করে তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট দ্রুত প্রতিকার চেয়েছেন।
নদীপথে ডাকাতি ও চাঁদাবাজির মত ১০টি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী শওকতের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না ভুক্তভোগী পরিবার ও নৌযান মালিক সমিতির নেতারা।
এই বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, নৌমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নৌ মালিক পক্ষ ও এজ রুটে চলাচলকারী নৌ শ্রমিকরা। এদিকে নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাদের মোবাইলে (০১৭১১-৪৬০০৭৫) কাউকে পাওয়া যায়নি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন