প্রশাসনের নজরদারী প্রয়োজন : পাপিয়া চরিত্রের অপর নাম ভূইয়াপাড়ার অনিতা
সিদ্ধিরগন্জ প্রতিনিধী :নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ভ’ইয়াপাড়া এলাকার মৃত গিয়াসউদ্দিনের কন্যা অনিতা (৩৪)। সে পাপিয়াদের মত রূপ যৌবনের জৌলস দেখিয়ে একে একে পুরুষদের মায়ার ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অনিতা তার একটি সংঘবদ্ধ দল নিয়ে সামাজিক বিভিন্ন ধরনের অপরাধ মূলক কাজ করে যাচ্ছে বীরদর্পে। প্রশাসনের লোক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গ তার হাতের মুঠোয় রয়েছে। এ সকল ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সে তার এ অপরাধ জগতের রাম রাজত্ব কায়েম করে যাচ্ছে দিবানিশি।
অনিতার বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ তুলে ধরেছেন ভুক্তভূগি মোঃ আঃ রশিদ সরদার। পটুয়াখালী জেলার চন্দ্রপাড়া এলাকায় মৃত মুনসুর সরদার এর পুত্র মোঃ আঃ রশিদ সরদার নারায়নগঞ্জের হাজীগঞ্জ এলাকায় ২য় স্ত্রী শিপন বেগম সহ সন্তানদের নিয়ে সুখের সংসার পরিচালনা করে আসছিল। রশিদের গ্রামের বাড়ীতে ১ম স্ত্রী রয়েছে। চাকুরীর সুবাদে সে ১ম স্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষে ২য় বিবাহ করে ২ সংসার নিয়ে বসবাস করে । অনিতা বেগম এর সাথে রশিদ এর পরিচয় হয় রশিদ এর অফিসে। অনিতা বেগম রশিদের সাথে পরিচয় হবার পর থেকেই রশিদের সাথে নানা অজুহাতে অফিসে এসে দেখা করতো। সহজ-সরল রশিদ অনিতার মনোভাব বুঝতে না পেরে সেও একদিন অনিতার দেয়া পারিবারিক দাওয়াতে অনিতার বাড়ী যান। সেই দিন অনিতা কুট কৌশলে বাড়ী নিয়ে রশিদকে কয়েকটি কাগজে স্বাক্ষর দিতে বলে। তখন রশিদ অস্বীকার করলে অনিতার পরিকল্পনা মতো কিছু বখাটে ছেলে ঘরে প্রবেশ করে রশিদকে ভয় দেখিয়ে স্বাক্ষর আদায় করে নেয়।
অনিতা এ স্বাক্ষর নিয়ে পরবর্তীতে রশিদ তাকে বিবাহ করেছে বলে উপস্থাপন করে। রশিদ অনিতার এ কর্মকান্ডে হতবাক হয়ে যায়। অনিতা বলে আমি এখন তোমার স্ত্রী এই কাগজবলে। এখন থেকে আমার কথা শুনতে হবে তোমাকে। আর আমার কথার ব্যতিক্রম করলে আমি তোমার ২ সংসারই তছনছ করে দেবো।
সংসারের সুখের কথা চিন্তা করে রশিদ কোন উপায়ান্তর না পেয়ে নীরবে অনিতার চাহিদা মতো নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, ফার্নিচার সহ তার আবদারকৃত চাহিদা পূরণ করে চলছিল।
অনিতার নিত্য নতুন আবদারে রশিদ নিরুপায় হয়ে ১ম ও ২য় স্ত্রীসহ তার পরিবারের আত্মীয় স্বজন ও শুভাকাক্সক্ষীদের সাথে আলোচনা করে অনিতাকে তালাক দিয়ে থাকে। অনিতা তালাকের নোটিশ পেয়ে হিং¯্র হয়ে মারমুখী হয়ে রশিদের বাড়িতে এসে শাসিয়ে যায় এবং দেখে নিবে বলে হুমকী দেয়। অনিতা রশিদের বিরুদ্ধে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ‘ক-অঞ্চল’, নারায়ণগঞ্জে একটি সি. আর. মোকদ্দমা করেন।
রশিদ অনিতার দেয়া এ মামলা হতে জামিনে বেরিয়ে এসে আদালতের ন্যায় বিচার পাওয়ার অপেক্ষায়। কিন্তু পাপিয়া চরিত্রের অনিতা আদালতের বিচারের অপেক্ষা না করে পুনরায় জাল বুনেন রশিদকে কীভাবে হেনস্তা করা যায়। রশিদসহ তার পরিবারকে অনিতা ও তার আগের সংসারের ছেলে আসিফ (১৭) নানাভাবে হুমকী প্রদান করে আসছে। হুমকীর এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জি.ডি) করা হয়। নিরীহ রশিদ এখন অনিতা ও তার ছেলে আসিফের ভয়ে দিশেহারা। তাই তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছেন।
অনিতা সম্পর্কে জানা যায় যে, সে বহুবিবাহিত নারী। এ পর্যন্ত সে ০৩টি স্বামীর সংসার ছেড়ে দিয়েছে তার স্বার্থের জন্য। প্রতিটি স্বামীর সংসার ছাড়ার পেছনে রয়েছে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়া। তার এ খারাপ চরিত্রের কারণে তার পরিবারও বিরক্ত। পরিবারের যারাই তার এ সব খারাপ কাজে বাধা দিয়েছে তাদেরকেই সে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেছে বলে জানা যায়। আগের ০৩ স্বামী তার এ ধরনের অন্যায় কাজে মুখ না খুললেও আঃ রশিদ নিঃস্ব হয়ে মুখ খুলতে বাধ্য হয়। আর তখনই বেরিয়ে আসে পাপিয়ার আসল রূপ। পাপিয়ারূপী এই অনিতার গতি রোধ করবে কে? অনিতার ব্যাপারে সবার দাবি বিষয়টি পুলিশ-প্রশাসনের নজরে এনে তার কার্যকলাপের গতি-বিধি লক্ষ করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।(আলোর ২৪ডট কম সংগৃহীত)
চলবে…..
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন