সোনারগাঁয়ে সরকারী খাস জমি ও নদী দখলের অভিযোগ
আজকের সংবাদ ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মেঘনা শিল্প নগরীর ইসলামপুর এলাকায় অবৈধভাবে বালু ফেলে মেঘনা নদী দখলের অভিযোগ উঠেছে জাপা নেতার বিরুদ্ধে।
উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক বিএনপি পন্থি চেয়ারম্যান ও বর্তমান জাপা নেতা রফিকুল ইসলাম ও তার ছেলের শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠে।
পিরোজপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকার নদীর তীর ঘেঁষে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশে মেঘনা নদী রক্ষায় সিমেন্টের ব্লক ও পাথর সরিয়ে এ নদী দখল করছে।
জানা যায়, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি থেকে সদ্য জাতীয় পার্টিতে যোগদান করা সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে শাহাদাত হোসেন রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় একটি কোম্পানির পক্ষে নদী দখল করে এ বালু ভরাট করছে।
মেঘনা নদীর ইসলামপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশে ৩শ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১শ ফুট চওড়া করে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু ভরাট করা চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের তোয়াক্কা না করে এ বালু ভরাট কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সোনারগাঁয়ে পিরোজপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও থানা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন রফিকুল ইসলাম। দীর্ঘদিন ধরে মেঘনা শিল্প এলাকায় বিভিন্ন কোম্পানির পক্ষে সরকারী খাস জমি ও নদীর জমি দখল করে দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর রফিকুল ইসলাম নিজেকে আড়াল করে নেয়। সম্প্রতি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলুর হাতে লাঙ্গল প্রতীক তুলে দিয়ে জাপায় যোগদান করেন।
জাপায় যোগদানের পর থেকে সে আগের রূপে ফিরে যান। রফিকুল ইসলামের ছেলে শাহাদাতের নেতৃত্বে আবারো দখলদারিত্ব শুরু করেন রফিকুল ইসলাম।
সরেজমিনে মেঘনা নদীর ইসলামপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মেঘনা নদীর জায়গা দখল করে সিমেন্টের ব্লক ও পাথর সরিয়ে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু ভরাট করা করছে।
অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি এ কাজের সাথে জড়িত না। তবে আমার ছেলে একটি কোম্পানির কার্যাদেশ নিয়ে কাজ শুরু করেছে। বাধা দেওয়ার পর মিমাংসার জন্য কাজ বন্ধ রেখেছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এবিষয়টি আমার জানা নেই। কোনভাবেই নদীর জায়গা দখল করতে দেওয়া হবে না। ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যাতা নিশ্চিত হওয়ার পর দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন