বিয়ার খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে চেতনা নাশক ট্যাবলেট খাইয়ে ভাতিজির বান্ধবীকে চাচার ধর্ষণ
মোঃ নুর নবী জনিঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কাঁচপুর উত্তরপাড়ায় ১২ বছরের এক কিশোরীকে বিয়ার খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে চেতনা নাশক ট্যাবলেট খাইয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে।
ধর্ষণে চাচা ইসমাইল (২৫) কে সহযোগিতা করে তারই ভাতিজি লিমা আক্তার (১৪)। স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্ধিতে ধর্ষিতার বান্ধবী লিমা আক্তার জানান,গত সোমবার বিকেল ৩ টায় আমি বান্ধবীকে নিয়ে আমার চাচা ইসমাইলের বাড়িতে যাই। যাওয়ার পর চাচা আমাকে অল্প একটু বিয়ারের সাথে একটা ঔষধ মিশিয়ে দিলে আমি খেয়ে কিচ্ছুক্ষণ পর ঘুমিয়ে পরি। এরপর তারা দুজন কি করছে আমি জানি না। আজ সকালে আমার বান্ধবী আমাকে বলে সে হাটতে পারছে না। রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
লিমা আরো জানান, অনেক দিন যাবত চাচার সাথে বান্ধবীর দুষ্টুমির সম্পর্ক চলে আসছে। সে আমার চাচার কাছ থেকে বিয়ার খাওয়ার আবদার করলে আমি তাকে আমার সাথে নিয়ে যাই।
বিয়ারের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ মিশিয়ে খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ইসমাঈলের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর মঙ্গলবার দুপুরে ধর্ষিত নারীর মা বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় দুজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের পর আসামীরা পলাতক রয়েছে। পুলিশ ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা এজাহারে কিশোরীর মা উল্লেখ্য করেন, উপজেলার কাঁচপুর উত্তরপাড়া গ্রামের আল আমিনের মেয়ে লামিয়া আক্তার ভূক্তভোগী ওই কিশোরীর বান্ধবী। আমি ও আমার স্বামী গার্মেন্টসে কাজে চলে যাওয়ার পর লামিয়া আমাদের বাড়িতে নিয়মিতভাবে যাতায়ত করতো। সোমবার বিকেলে লামিয়া আমার বাড়িতে এসে তার চাচা একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ইসমাঈলের বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে কৌশলে কোমল পানীর সঙ্গে চেতনা নাশক ঔষধ মিশিয়ে অচেতন করে লামিয়ার সহযোগিতায় আমার মেয়ে কে ইসমাইল ধর্ষণ করে। সন্ধ্যার দিকে ঘুম থেকে জেগে কিশোরী নিজেকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পায়। এ বিষয়টি বাড়িতে গিয়ে আমার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনার পর ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পারি।
সোনারগাঁ থানার ওসি তদন্ত তবিদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মামলা গ্রহন করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ওই কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন