ফুটপাত নিয়ন্ত্রণ নিতে ওসিকে ম্যসেন্জারে বার্তা,সাইড না দেয়ায় ওসির বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ
আজকের সংবাদ ডেক্সঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বিশেষ পেশার এক গুণধর ব্যাক্তিকে আর্থিক সুবিধা ও ফুটপাতের চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রনের অনুমতি না দেয়ায় কাঁচপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামানকে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের নিউজ করার হুমকি ও পরক্ষনে সংবাদপত্র নিউজ প্রকাশ । এ নিয়ে সাংবাদিক মহলে চলছে নানান সমালোচনা ও ক্ষোভ।
বিশেষ সুত্রে জানাযায়,কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মনিরুজ্জামানের ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে বিশেষ পেশার এক গুণধর ব্যাক্তি কয়েকটি বার্তা পাঠায়।
নিন্মে তা হুবুহু তুলে ধরা হলো--
বিশেষ পেশার গুণধর ব্যাক্তি-- মনির ভাই মসজিদ মার্কেট বরাবর ড্যাম্পিং গেইট থেকে আমাদের সোনাপুর শাখার রাস্তা পর্যন্ত আমাকে ফুটপাতটু দিয়ে দেন। এই এরিয়াটা আমার নেতৃত্বে দেন। আমি আপনাকে মাসিক ৩০ হাজার টাকা করে দিব। প্লিজ ভাই বিষয়টি দেখেন,আপনি সবাইরে সবই করেন।কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাকে কিছুই করেননি।pls answer me---?
এবং ফুটপাত সব আপনার দখলে প্রতি ফুটে টাকা নেন। আমার মতো ভাইকে আপনি সাইট না দিলে কোন সমস্যা নেই আবার আমার প্রতি মনোক্ষুণ্ণ হবেননা। এটা
নিউজ হয়ে যাবে। ধন্যবাদ??
এমন হুশিয়ারী বার্তায় ও কাঁচপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান ওই বিশেষ পেশার প্রস্তাবে রাজি হয়নি। এর পর থেকেই মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ নানান অভিযোগ উত্থাপন করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে।
ওসি মনিরুজ্জামান বলেন,আসলেই আমি অবাক,হতাশ না হয়ে পারলাম না রাস্তায় ফুটপাত দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রন করার অনুমতি না দেয়ায় আমার বিরুদ্বে মিথ্যা কাল্পনিক সংবাদ প্রকাশ করছে।এ বিষয়টি নিয়ে পেশাদার সাংবাদিকদের মধ্যেও নানান সমালোচনা শুরু হয়েছে।আমি আপনাদের(সাংবাদিক)কাছে অনুরোধ করবো ব্যক্তিস্বার্থে যারা সাংবাদিকতার মত মহান পেশাকে হেয় করছেন তাদের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সংগঠন থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা আমি এ পেশাকে শ্রদ্ধা করি,সাংবাদিকগণ হচ্ছেন জাতির জাগ্রত বিবেক। আর সংবাদপত্র হচ্ছে সমাজের দর্পণ, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। তাই সৎ ও নির্ভীক সাংবাদিকতা দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল বয়ে আনে, তাই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করার জন্য সাংবাদিক মহলকে অনুরোধ করছি।
অপর দিকে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,বিশেষ পেশার ওই গুণধর চাঁদাবাজি,মানুষকে ব্ল্যাকমেইলিং করতে গিয়ে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ,সোনারগাঁ ও রূপগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার পিটুনি খেয়েছেন। ওই গুনধর দেশের বিভিন্ন প্রথম শ্রেনির দৈনিক পত্রিকা ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় কাজ করে এমন পরিচয় দিতে গিয়ে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় নাজেহালও হয়েছেন।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে গত ২০১৭ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারী দৈনিক সমকাল পত্রিকায় ৫০ হাজার টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে সিদ্ধিরগঞ্জে ৭ সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই সময় সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকার ফ্যামিলি ল্যাব হাসপাতালের এমডি ও দৈনিক সরেজমিন পত্রিকার সম্পাদক বেলায়েত হোসেন ভূঁইয়া দ্রুত বিচার আইনে ওই গুনধর ব্যক্তির নামে মামলাটি দায়ের করেন।
এ বিষয়টি জানার পরই পেশাদার সাংবাদিকদের মধ্যে নানান সমালোচনা শুরু হয়েছে।ব্যক্তিস্বার্থে যারা সাংবাদিকতার মত মহান পেশাকে হেয় করছে তাদের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সংগঠন ও প্রশাসনিক ভাবে প্রয়োজনীয় ব্যববস্থা গ্রহণ করা উচিৎ বলে মনে করছেন পেশাদার সাংবাদিকরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন