মামুনুল কান্ডে,সোনারগাঁয়ে আরোও ৩ মামলা,একটিতে আসামী মামুনুল হক
আজকের সংবাদ ডেক্সঃ হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে গত শনিবার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীসহ রয়েল রিসোর্টে অবরুদ্ধের ঘটনায় হামলা,ভাংচুর,জ্বালাও পোড়াও ও সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় হেফাজতের নেতাকর্মীদের আসামী করে আরো ৩টি মামলা হয়েছে।
এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট ৬টি মামলা দায়ের করা হয় বলে থানা সুত্রে জানাযায়। এতে আসামী করা হয়েছে প্রায় ৫০০ জনের নাম ও ৭-৮শত অজ্ঞাত প্রায়৷ এ ঘটনায় সোনারগাঁজুড়ে গ্রেফতার আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে জনমনে।
সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান ৬টি মামলার কথা নিশ্চিত করে বলেন,এ ঘটনায় আরো একটি মামলা হবে এ পর্যন্ত ২৩ জন গ্রেফতার হয়েছে বাকি আসামীদের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে নাম ঠিকানা অন্তভূক্ত করা হবে।
সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু বাদি হয়ে ১টি, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনির বাবা হাজী শাহ জামাল তোতা বাদি হয়ে ১টি ও যুবলীগের প্রচার সম্পাদক নাছির উদ্দিন বাদি হয়ে ১টি মামলা দায়ের করেন।
এর আগে সোনারগাঁ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইয়াউর রহমান সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা ও রয়্যাল রিসোর্ট ভাঙচুরের ঘটনায় ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় মামুনুল হককে। এ ছাড়া এ মামলায় সোনারগাঁ পৌরসভা জাতীয় পার্টির সভাপতি এম এ জামান, সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মহিউদ্দিন খান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মসজিদের খতিব ইকবাল হোসেনসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিএনপি জামাত ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়।
এসআই আরিফ হাওলাদার বাদী হয়ে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে আরও একটি মামলা করেন। এ মামলায় ৪২ জনের নাম উল্লেখ ও ২৫০-৩০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। এ মামলায় আসামি করা হয়েছে হেফাজতে ইসলাম, জাতীয় পার্টি ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের।
অপর মামলাটি করেন হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের হামলায় আহত স্থানীয় এস এ টেলিভিশনের নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান। এ মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ ও ৭০-৮০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন