মামুনুল হক রিমান্ডে,চলছে জিজ্ঞাসাবাদ
আজকের সংবাদ ডেস্কঃ হেফাজতের ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে তাঁর কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীর ধর্ষণের অভিযোগ করা মামলাসহ তিন মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নারায়ণগঞ্জ আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার(১৮ মে) সকালে মামুনুল হককে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান,মামুনুল হককে ৩ মামলায় ৯ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নারায়ণগঞ্জ আনা হয়েছে।এসব মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামুনুল হকের কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের মামলায় হেফাজত নেতা মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড, সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে হামলা ও ভাংচুর মামলায় তিন দিন,সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগ অফিসে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তিনদিন মোট নয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওই তিন মামলায় পর্যায়ক্রমে তাঁকে রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এ ছাড়া গত ২৮এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সহিসংতার ও গাড়ির পোড়ানোর দুটি মামলায় সিআইডির আবেদনের প্রেক্ষিতে মামুনুল হককে তিন দিন করে মোট ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অন্যদিকে হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার আরও একটি মামলায় মামুনুল হককে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্ট কাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটিসহ মোট সাতটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ওই তিন মামলায় মামুনুল হক এজাহার নামীয় আসামি।
গত ৩রা এপ্রিল সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে মামুনুল হককে নারীসহ অবরুদ্ধ করে স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ গিয়ে মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করার খবর পেয়ে হেফাজত ও তার অনুসারীরা ওই রিসোর্টে হামলা চালিয়ে তাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়। পরে হেফাজতের নেতা-কর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ভাংচুর চালায়। এ সময় তাঁরা মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ আওয়ামীলীগ কার্যালয় ভাংচুর করে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন