সোনারগাঁ থানায় কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীর ধর্ষণ মামলায় মামুনুল রিমান্ডে
আজকের সংবাদ ডেস্কঃ হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে তার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে সোনারগাঁ রয়েল রির্সোটসহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা মামলাসহ আরো কয়েকটি মামলায় মামুনুল হককে রিমান্ডে আনবে সোনারগাঁ থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার(১৮ই মে) সকালে আদালতের নির্দেশে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য তাকে থানায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন সোনারগাঁ থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান।
এর আগে গত মাসের ৩০ এপ্রিল তারিখ সকালে সোনারগাঁ থানায় ধর্ষণের মামলা করেন মামুনুল হকের দাবিকৃত কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্না। মামলা দায়েরের পর ওইদিনই দুপুরে জান্নাত আরা ঝর্নার ডাক্তারি পরীক্ষা নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে (ভিক্টোরিয়া) সম্পন্ন করা হয়।
এছাড়াও গত মার্চ মাসের ৩ তারিখে সোনারগাঁ রয়েল রির্সোটে কথিত স্ত্রী ঝর্না আক্তারসহ মামুনুল হককে সোনারগাঁ রয়েল রির্সোটে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনার পর মামুনুল হকের সমর্থকরা তাকে ছাড়িয়ে নিতে রয়েল রির্সোটে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এরপর তারা মামুনুল হককে সেখান থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে গিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের পার্টি অফিস যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম নান্নু ও সোহাগ রনির বাড়ীঘর ভাংচুরের ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় পৃথক ৭টি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় ২টিতে মামুনুলকে আসামী করা হয়।
এদিকে, চলতি মাসের ১২ তারিখে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের দুই থানায় করা পৃথক পাঁচটি মামলায় ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর মধ্যে জান্নাত আরা ঝর্ণার দায়ের করা ধর্ষণ মামলাও রয়েছে। পুলিশ ও সিআইডি ৩৮ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে শুনানি শেষে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ূন কবিরের আদালত ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ সময়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে ভার্চুয়াল আদালতে যুক্ত হন মামুনুল হক। আদালতের দেয়া ১৫ দিনের রিমান্ডে মঙ্গলবার তাকে জিঞ্জেসাবাদের জন্য সোনারগাঁ থানায় আনা হবে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মো.হাফিজুর রহমান আজকের সংবাদ ডট কম প্রতিনিধিকে জানান, মামুনুল হকের কথিত স্ত্রী ঝর্ণার দায়ের করা ধর্ষণের মামলায় হেফাজত ইসলামের কেন্ত্রীয় সাবেক যুগ্ন মহাসচিব মামুনুল হককে জিঞ্জেসাবাদের জন্য মঙ্গলবার সকালে তাকে থানায় আনা হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন