সোনারগাঁওয়ে হেফজতের মামলায় সাংবাদিক গ্রেফতার
সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি: হেফাজতের মামলার এজাহার নামীয় আসমী সাংবাদিক সুলতান মাহমুদকে (৫২), গ্রেফতার করেছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ।
সোনারগাঁও থানার এএসআই মো. আলমগীর হোসেন, মঙ্গলবার (১৫ জুন) দুপুরে জেলার বন্দর উপজেলার লক্ষণখোলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সোনারগাঁও থানায় নিয়ে আসেন। পরে তাকে হেফাজতের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেলা আদালতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাফিজুর রহমান জানান, সুলতান মাহমুদ সাংবাদিক কি না আমার জানা নেই। তবে যখন তার বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানায় মামলা হয়। আমি তখন এই থানার দায়ীত্বে ছিলাম না। তিনি সোনারগাঁও থানার একটি এজাহার নামীয় হেফাজতের মামলার আসামী হওয়ায় তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
তিনি আরো জানান,সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু বাদী হয়ে হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রিয় সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হক ও সুলতান মাহমুদসহ প্রায় ৩শত জনকে আসামী করে সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে সোনারগাঁও থানার এএসআই মো. আলমগীর হোসেন জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হেফাজতের মামলার এজাহার নামীয় আসামী হওয়ায় তাকে সুলতান মাহমুদকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ: গত (৩ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর অদূরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টে হেফাজত নেতা মামুনুল হক একজন নারীসহ অবস্থান করছেন এমন খবর পেয়ে স্থানীয় কিছু লোকজন, ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা তার কক্ষটি ঘেরাও করেন। যদিও মামুনুল হক সঙ্গে থাকা নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেন তিনি। পরে সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে বিএনপি, জামায়ত শিবির, ও হেফাজতের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে মাদরাসার ছাত্ররা মিছিল নিয়ে এসে রয়েল রিসোর্ট নামের ওই অবকাশযাপন কেন্দ্রটিতে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে মামুনুলকে ছিনিয়ে নেয়।
পরে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় অবস্থিত আওয়ামীলীগের প্রধান কার্যালয় ও যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বাড়ি ঘরে, পুলিশের উপর হামলা ও পুলিশের গাড়ি ভাংচুর করে।
এ ঘটনায় সোনারগাঁও থানায় হেফাজত নেতা মামুনুল হককে প্রধান আসামী করে পৃথকভাবে মোট ৭টি মামলা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন