পূর্বশত্রুতার জেরে নিরপরাধ স্বেচ্ছাসেবী ও সাংবাদিককে জরানো হল হেফাজতের মামলায়
জেলা প্রতিনিধিঃ- নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে হেফাজতের মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হয়ে বাড়ী ছাড়া করোনা যোদ্ধা সেচ্ছাসেবী ও স্থানীয় সাংবাদিক।
জানা যায়,গত ৩রা এপ্রিল শনিবার সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টে আসেন কেন্দ্রীয় হেফাজত ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। ওই সময় তার সঙ্গে এক নারী ছিলেন যাকে তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করেছিলেন। ওইদিন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনিসহ স্থানীয়রা মামুনুল হককে নারীসহ আটক করেছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ও সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। ঘটনাটি সংবাদকর্মীরা ভিডিও ধারণ করেন। ওই খবরটি প্রচারিত হলে হেফাজতের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে রয়েল রিসোর্টে হামলা ভাংচুর চালিয়ে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নেয়। এরপর তারা রফিকুল ইসলাম নান্নু ও সোহাগ রনির বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর চালায় এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে অগ্নিসংযোগ ভাংচুর ও উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয় ভাংচুর চালায়।এছাড়াও স্থানীয় এক সংবাদকর্মীর বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর ও লাঞ্ছিত করেছে হেফাজত কর্মীরা। এসব ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় পৃথক ৬টি মামলা দায়ের করা হয়। যার মধ্যে দুটি পুুলিশ বাদী ও বাকি ৪টি মামলার বাদী পাবলিক।
কিন্তু উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু বাদী হয়ে তার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুরের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন যেখানে হেফাজত নেতাকর্মীরা আসামি।
অথচ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে করোনা যোদ্ধা সানাউল্লাহ বেপারীসহ সেচ্ছাসেবী ফজলুল হক মাস্টার, আলমগীর কবির ও স্থানীয় দুই সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ ও কবির আহম্মেদ মিথ্যা মামলার আসামী হয়ে বাড়ী ছাড়া।
একইভাবে উপজেলা যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নাসির উদ্দীন আহাম্মেদ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেন সেখানেও তাদের অনেকের নাম জড়ানো হয়েছে যেখানে তাদের কোনো রকম সম্পৃক্ততা নেই।ঘটনার সময় আমরা করোনা যোদ্ধা টিম লিডার সানাউল্লাহ বেপারী যিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাসায় আইসোলোশনে ছিলেন,অপর দিকে আমরা করোনা যোদ্ধা সেচ্ছাসেবীর সার্বিক সহযোগী ফজলুল হক মাস্টার ও মোঃ আলমগীর কবির মেম্বার যেখানে মাননীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার সাথে বৈদ্যোরবাজার এলাকায় মাস্ক বিতরণ করেছেন যা কিনা সিসিটিভিতে স্পষ্ট দেখা যায়,অপর দিকে সম্পাদক ও প্রকাশক সময়ের চিন্তা অনলাইন পত্রিকা ও টিভি,সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার অপরাধ বিচিত্রা,সভাপতি জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা,ভাইস-চেয়ারম্যান ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি, কেন্দ্রীয় সদস্য ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশন,কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা,কেন্দ্রীয় সহ-সাধারন সম্পাদক সম্মিলিত সাংবাদিক পরিষদের সুলতান মাহমুদ যিনি ছিলেন নারায়ণগঞ্জে ও কবির হোসেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি দৈনিক আজকের আলোকিত সকালের প্রতিনিধি তিনি ঘটনার সময় ছিলেন তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রেস্তোরাঁয় সিসিটিভিতে প্রতীয়মান।
এবিষয়ে আমরা করোনা যোদ্ধার টিম লিডার সানাউল্লাহ বেপারী ও ফজলুল হক মাস্টার বলেন,পূর্বশত্রুতার জের ধরেই আমরা করোনা যোদ্ধা ও স্বেচ্ছাসেবীদের হেফাজতের মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমরা এই পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু ৩৮ জন লাশ দাফন সম্পন্ন করেছি, সেই সাথে সর্বদা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি, অথচ আজ এই মিথ্যা মামলায় আমরা জর্জরিত হয়ে ফেরারি জীবন যাপন করছি এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এব্যাপারে সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ পুলিশ প্রশাসন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সুষ্ঠ তদন্ত করে আসল ও প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আহবান করছেন তিনি।
অথচ তারা মিথ্যা মামলায় জর্জরিত হয়ে এখন এলাকা ছাড়া,কোন দৃশ্যের কারণে তাদের মিথ্যা মামলায় জড়ানো হল এ নিয়ে এলাকায় চলছে গুঞ্জন।
এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছেন ভুক্তভোগী করোনার যোদ্ধারা ও দুই সাংবাদিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন