সোনারগাঁয়ে কঠোর লকডাউন পালনে সর্বমহলে প্রশংসা কুড়িয়েছেন ইউএনও, ও এসিল্যান্ড
আজকের সংবাদ ডেক্সঃনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতিকুল ইসলামের সার্বিক তত্বাবধানে অতিবাহিত হয়েছে কঠোর লকডাউনের শেষ দিন।উপজেলার প্রতিটি এলাকা, হাট,বাজারে প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করে লকডাউন মানাতে কাজ করেছেন তিনি। এ জন্য সর্ব মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছেন নির্বাহী অফিসার আতিকুল ইসলাম।
১৪ দিনের লকডাউনের বিধি-নিষেধ অমান্য করার অপরাধে সোনারগাঁয়ে গত ১৪দিনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতিকুল ইসলাম ৩৪ ব্যক্তিকে ৪৫ হাজার টাকা ও সহকারী কমিশনার ভুমি গোলাম মুস্তাফা মুন্না গত ১৪দিনে ৪৪ ব্যক্তিকে ১৩১.০০০/- হাজার টাকা,এ নিয়ে সর্বমোট ৭৮টি মামলায় ১,৭৬,০০০/টাকা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করেছেন।
আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতিকুল ইসলাম ও,সহকারি কমিশনার (ভূমি) গোলাম মুস্তফা মুন্না।এছাড়া বেশ কিছু অটোরিকশা ও ছোট যানবাহন আটক করেছে থানা পুলিশ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লকডাউনের প্রথম দিন ভোর থেকেই ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে সোনারগাঁ উপজেলার প্রবেশ ও বহির্গমন ঠেকাতে কাঁচপুর- মদনপুর-মেঘনা সড়কসহ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়ন করা হয়।
প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি হাট-বাজারসহ উপজেলার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত চষে বেড়াচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতিকুল ইসলাম। সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান ও কাঁচপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান মনিরও রয়েছেন মাঠে।
বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হাট-বাজারসহ লকডাউনের আওতাভুক্ত সব ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দুরপাল্লার গণপরিবহন।
সরেজমিনে দেখা গেছে,লকডাউনের বিধি-নিষেধ কার্যকর করতে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতিকুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ সহকারি পুলিশ সুপার (খ- সার্কেল) শেখ বিল্লাল হোসেন,সহকারি কমিশনার(ভূমি) গোলাম মুস্তাফা মুন্না ও থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান। লকডাউন অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিয়েছেন তারা।
অভিযান চালিয়ে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ,নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল আইন লঙ্গনের অপরাধে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জরিমানা করা হয়। এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম।
এছাড়াও প্রতিদিন সোনারগাঁয়ের মহাসড়কসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে অভিযান ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সহকারি কমিশনার (ভূমি)গোলাম মুস্তাফা মুন্না। এসময় করোনাভাইরাস বিস্তাররোধে সরকারি বিধি-নিষেধ অমান্য করায় বিভিন্ন ব্যক্তিকে অর্থদন্ড আরোপ ও আদায় করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতিকুল ইসলাম বলেন,লকডাউনের বিধি-নিষেধ কার্যকর করতে কঠোর অবস্থানে ছিলেন উপজেলা প্রশাসন। স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখাসহ বিভিন্ন অপরাধে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আদায় করা হয়েছে জরিমানা। লকডাউন বাস্তবায়নে যখন যেটা প্রয়োজন সেটাই করা হয়েছে। করোনা থেকে নিজে ও দেশকে বাঁচাতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।
অপরদিকে,উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতিকুল ইসলাম কর্মহীন ও দু:স্থ লোকদের সরকারি খাদ্য সহায়তা প্রদান করে আসছেন বলে তিনি জানান।এছাড়াও,কেউ মোবাইল ফোনে কল করলে বা সামাজিক ও গণমাধ্যমের খবর প্রকাশের পর ওই সব দু:স্থদের বাড়িতে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
সহকারি পুলিশ সুপার (খ-সার্কেল)শেখ বিল্লাল বলেন,পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম স্যারের নির্দেশে লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ সার্বক্ষণিক মাঠে কাজ করছেন। সোনারগাঁ ও বন্দর সড়কসহ উপজেলার অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন সড়কে চলাচল করতে দেওয়া হয়নি।
বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে রাস্তায় বেড় হওয়ায় আটক করা হয়েছে বেশ কিছু অটোরিকশা ও ছোট যানবাহন। এছাড়া অনেক পথচারীকে আটক করার পর সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এছারাও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ মুস্তাইন বিল্লার নির্দেশে মাঠে রয়েছেন সরকারি সকল স্তরের কমর্কর্তারা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমন প্রতিরোধে লকডাউনের বিকল্প নেই। তাই,সকল সরকারি কর্মকর্তাদের কাজে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসক। লকডাউনের আগামী দিনগুলোতে আরো কঠোরভাবে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
উল্লেখ্য,লকডাউনের এ সময় সারা দেশের ন্যয় মাঠে রয়েছেন পুলিশ,সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন